--------
------ ---- অপরূপা দীঘার হাতছানি ---- ------ --------
শ্রী রূপেশ কুমার সামন্ত/ ০২.০৬.১৮ / ভ্রমন কাহিনী
টমাস উইলসন একবার ইতালির ক্যাপ্রি দ্বীপে ছুটি
কাটাতে গিয়েছিলেন। তিনি ক্যাপ্রির অপরূপ সৌন্দর্যে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। বাড়ি
ফিরে তিনি আর ঠিক থাকতে পারছিলেন না। তিনি হঠাৎ চাকরি ছেড়ে দিলেন। তারপর একদিন তিনি
ক্যাপ্রি দ্বীপে চলে গেলেন। আর ফিরলেন না সারাজীবন। ক্যাপ্রির রূপ-রস-গন্ধে তিনি মোহাচ্ছন্ন
হয়ে রইলেন। সমারসেট মমের ‘লোটাস ইটারে’র সেই কাহিনী আমরা ভূলিনি। উইলসনের মতো বাস্তবে
এক ইংরেজ পর্যটক
ছিলেন। নাম জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ। তিনিও এই দীঘার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়েই দিয়েছিলেন এখানে।
দীঘা, সত্যিই তুমি ‘ইন্ডিয়ান ক্যাপ্রি’! অপরূপা দীঘার হাতছানি পদে পদে। লক্ষ লক্ষ পর্যটকের
ভীড়ে দীঘা সত্যিই মোহময়ী। চলুন উপভোগ করি, ঘুরে দেখি!
-----অতীত খুঁজি-----
দীঘা আজকের দিনে ওল্ড দীঘা ও নিউ দীঘা
নামে পরিচিত। কিন্তু অতীতে দীঘার নাম ছিল বীরকুল। দীঘাকে 'প্রাচ্যের ব্রাইটন'ও বলা হত।
এই বীরকুলের সৌন্দর্য ছিল অপরূপ। ১৭৮০ সালে ভাইসরয় ওয়ারেন হেস্টিন্স এই বীরকুলের
সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে স্ত্রীকে
বীরকুলের রূপের বর্ণনা করে
চিঠি
লিখেছিলেন। এরপর ১৯২৩ সালে ইংরেজ পর্যটক জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ এই বীরকুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হলেন। একদিন জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ সাহেব মুখ্যমন্ত্রী ড.
বিধান চন্দ্র রায়ের দপ্তরে হাজির হলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করলেন দীঘাকে সাজিয়ে তুলতে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ড. বিধান চন্দ্র রায় দীঘাকে সাজাতে চেষ্টা করলেন। পরিকল্পনা তৈরী করা হল। সৃষ্টি হল আজকের অন্যতম
জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র অপরূপা দীঘা।
-----স্বপ্নের সফর-----
পৃথিবীর নানা প্রান্তের পর্যটন বিলাসী মানুষের
গন্তব্য এখন দীঘা। কলকাতা
থকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ। হাওড়া থেকে ট্রেন। মাত্র সাড়ে তিন ঘন্টার পথ। সবুজ ধান ক্ষেত, ছোট ছোট গ্রাম, গ্রামীন পথ, ছোট নদী, চিংড়ির জলাভূমি
আর সোঁদা মাটির গন্ধ উজিয়ে ট্রেনে স্বপ্নের সফর। যাওয়া যায় সড়ক পথেও।
-----রাত্রির
আবাস-----
ওল্ড দীঘা ও নিউ দীঘাতে রয়েছে প্রচুর হোটেল।
তবুও ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা। হোটেল গুলি বেশ আধুনিক। শুধু পছন্দমত কোন একটা বাছতে হবে। ভাড়ার দিকটাও
খেয়াল রাখা দরকার। তবে ঝঞ্ঝাট
এড়াতে আগে থেকে বুকিং করে রাখাই ভালো।
-----নিউ দীঘা----
নিঊ দীঘা এই
শহরের একটি নতুন
মনোরম
অংশ।
এই অংশটি ওল্ড দীঘার চেয়ে তুলনামূলক
ভাবে বেশি পরিকল্পিত। ‘দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পরিষদ’ কর্তৃক পর্যটকদের সুবিধার্থে
প্রচুর পরিকল্পনা মাফিক কাজ হচ্ছে। ওল্ড দীঘার চেয়ে কিছুটা নিরিবিলি এখানে। সমূদ্রের
বাঁধানো পাড়ে বসে সমূদ্রকে দু’চোখ দিয়ে শুষে নেওয়া আর সমূদ্রের গর্জনকে হৃদয়ের
সুরে বেঁধে নেওয়ার মধ্য দিয়ে পাওয়া যায় এক স্বর্গীয় অনুভূতি। ঢেউ ভেঙে সমূদ্রের
স্নান দেবে অনন্য অভিজ্ঞতা। সমুদ্রের তীরে বসে দু’একটা ডাব খেতেই হবে। কোনভাবেই সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতাটি হাতছাড়া করা যাবে না।
দীঘার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। সকলের মনে এক স্বর্গীয় অনুভূতির সৃষ্টি করবেই। বিকেল ও
সন্ধ্যে বেলায় কোটালের সময় সমুদ্রের পাড়ে বসলে দেখা যায় সমুদ্রের আর এক রূপ। সমুদ্র
তখন উত্তাল। বিরাট বিরাট ঢেউ আছড়ে পড়ছে তটের উপর। বালুকার
চরে ঝিনুক কুড়ানো, সামূদ্রিক প্রাণির আনাগোনা দেখা, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখা মনের গভীরের
আনন্দটাকে পরিপূর্ণ করবে।
-----ওল্ড দীঘা----
এটিই পুরানো সমূদ্র সৈকত। পুরানো ভ্রমন ক্ষেত্র।
নিউ দীঘার পাশেই পূর্ব দিকে। সমূদ্রের পাড় ধরে বাঁধানো রাস্তা দিয়ে নিউ দীঘা থেকে হেঁটে
যাওয়া যায়। এটি বহু পুরানো শহর হওয়ায় কিছুটা ঘিঞ্জি প্রকৃতির। ‘বিশ্ববাংলা পার্কে’র
সামনে থেকে সমূদ্র সত্যিই অনন্য। ঘোড়ায় চড়া বা পমফ্রেটের কাটলেট বা জ্যোৎস্না রাতে
চাঁদের আলোর প্রতিবিম্বে সমূদ্র দর্শণ হৃদয়কে আলোড়িত করবেই।
-----অমরাবতী লেক-----
নিউ
দীঘায় লেকের সাথে
একটি
পার্ক
ও
একটি
সর্প-উদ্যান আছে।
সমূদ্র তীর থেকে খুব কাছেই উত্তর দিকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই অবস্থিত। পার্কের
সবুজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঋতুকালীন ফুল মুগ্ধ করবেই। এখানে নৌকা
ভ্রমণের ব্যবস্থাও আছে। ব্যস্ত জীবন এড়িয়ে
পার্কের জলাশয়ে একটু বোটিং মনকে সজীব করবেই। শিশুদের জন্য বেশ উপযুক্ত পার্ক।
নানান রাইডিং, খাঁচা ভর্তি পাখি, বাহারী ফুল যেন শিশুদের জন্য স্বর্গোদ্যান।
-----রোপ-ওয়ে-----
অমরাবতী পার্কের মধ্যেই রয়েছে রোপ-ওয়ে। এটি নির্মাণ করেছে ‘দামোদর রোপ-ওয়ে
অ্যান্ড ইনফ্রা লিমিটেড’। এ এক রোমাঞ্চকর রাইডিং। চড়ার অভিজ্ঞতা দারুন। দীঘায় গেলে
অবশ্যই রোপ-ওয়ে একবার চড়ে দেখতেই হবে। টিকিট কেটে রোপ-ওয়েতে চাপা যাবে।
-----দীঘা
বিজ্ঞান কেন্দ্র-----
অমরাবতী পার্কের কাছাকাছি পশ্চিম দিকে দীঘা
বিজ্ঞান কেন্দ্র অবস্থিত। সমূদ্র ভ্রমনের মাঝে একঘেয়েমি কাটাতে এখানে যেতেই হবে। বিজ্ঞানপ্রেমী
হলে মোটেই মিস করা যাবে না। এখানে রয়েছে মজার বিজ্ঞান গ্যালারী, প্রতিফলন গ্যালারী,
প্রাণী বিজ্ঞান গ্যালারী, বিজ্ঞান পার্ক, ছাদের জল সঞ্চয় প্রকল্প, টেরেনোসরাস রেক্স স্ট্যাচু, ভার্চুয়াল গেম, থ্রি-ডি শো ইত্যাদি, যা অত্যন্ত আকর্ষনীয়। এই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে
হলে টিকিট লাগবে। বিশেষ কিছু শো এর ক্ষেত্রে আলাদা টিকিটও লাগবে।
-----উদয়পুর------
নিউ দীঘার পাশে উড়িষ্যার
বালেশ্বর জেলা
ও বাংলার সীমানা বরাবর
উদয়পুর সমুদ্রতট অবস্থিত। নিউ
দীঘা থেকে তিন কিমি পশ্চিমে। উদয়পুর সমুদ্র সৈকতটি ভারতের সবচেয়ে
আদি ও নিখুঁত সমুদ্র সৈকত রূপে পরিচিত। কোলাহলহীন এই সৈকত খুব ভালো লাগবেই। এই সৈকতের সৌন্দর্য অত্যন্ত
মনোমুগ্ধকর। এখানকার কাজু বাগানের সারি সবচেয়ে আকর্ষনীয়। ডাবের জল, পমফ্রেট
কাটলেট, চিংড়ির কারি, স্পীডবোট এবং বাইক রাইডিং উদয়পুর সৈকতে ভ্রমনকে অনন্য করে
তুলবেই।
-----নিমাই চাঁদ নিতাই চাঁদ মন্দির-----
উদয়পুরের পরে উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় রয়েছে নিমাই চাঁদ নিতাই চাঁদ মন্দির।
দর্শণীয় মন্দির। রয়েছে কিঁয়াগড়িয়া আশ্রম। এখানে ফটো তোলা নিষেধ। কিছুক্ষণ মনোরম
পরিবেশে বসলে মনের প্রশান্তি আসবেই।
-----চন্দনেশ্বর মন্দির----
দিঘা থেকে সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চন্দনেশ্বর শিব মন্দিরের লোককাহিনী তার ইতিহাসকে জনপ্রিয় করেছে। মন্দিরটি
কলিঙ্গ স্থাপত্যে নির্মিত। প্রচুর পূন্যার্থী পূন্য লাভের আশায় মন্দির চত্ত্বরে
হত্যে দিয়ে পড়ে থাকেন। মনস্কামনা পূর্ণ করতে পূন্যার্থীরা সামনের পুকুর থেকে
মন্দির পর্যন্ত ‘দণ্ডি’ কাটেন। উড়িষ্যা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিনে মন্দিরে বিশাল বার্ষিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সময়
প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ পূন্যার্থীর আগমন হয়। এক রাত্রিতে প্রায় ৩ থেকে ৪
লক্ষ পূন্যার্থী তাদের নৈবেদ্য অর্পণ করেন।
-----তালসারি------
দীঘা থেকে ১০ কিলোমিটার
দূরে উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলার তালসারি সৈকত অবস্থিত। ভারতের উত্তর-পূর্ব
উপকূলে সর্বশেষ সমুদ্র সৈকত তলাসারি। এই সৈকত প্রাচীন ও দর্শনীয়।
সৈকতের সৌন্দর্য
আমাদের
ইন্দ্রিয়গুলিকে রিফ্রেশ করবেই। এই সমুদ্র সৈকত বহু খেজুর গাছ, নারকেল গাছ, কাঁটা গাছের
সারিতে মোড়া। এই সৈকতে রয়েছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় হাজার হাজার লাল কাঁকড়া। রান্না করা মুরগির মাংস, কাঁকড়ার কাটলেট ও
সামূদ্রিক মাছের স্বাদ নিতে নিতে সৈকত ভ্রমন অন্য মাত্রায় পৌঁছাবেই। এখানে
সুবর্ণরেখা নদী বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। ভাটার সময় সুবর্ণরেখার বুকে হাঁটতে হাঁটতে
সমূদ্র তীরে পৌছে যেতে বেশ ভালো লাগবে।
-----মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম-----
অ্যাকোয়ারিয়ামটি ওল্ড দীঘার নিকট রয়েছে। এটি ভারতের সবচেয়ে বড় নির্মিত অ্যাকোয়ারিয়াম। সমুদ্রতলার গোটা জগত নিয়ে তৈরি এটি। ১৯৮৯ সালে ভারতের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই মেরিন অ্যাকরিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার তৈরি করা হয়। যেটা আজ ভারতের সমুদ্র গবেষণার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। অ্যাকোয়ারিয়ামে তিন ধরণের প্রাণী রয়েছে: সংরক্ষিত প্রজাতি, স্থানীয়
আকর্ষনীয় প্রজাতি এবং পরিস্কার জলের প্রজাতি। এখানে রয়েছে সি অ্যানিমোনি, লোবস্টার, সার্ক, রে, বাটার ফ্লাই ফিস, সি
স্নেক, সি হর্স এবং অন্যান্য অসাধারণ জলজ প্রাণী। সৈকত ভ্রমনে গিয়ে মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম ভ্রমন অবশ্যই উপরি পাওনা।
-----কাজল দিঘি বা ওন্ডার ল্যাণ্ড-----
নিউ দিঘা থেকে ২ কিমি দূরে কাজল দিঘি পার্ক বা ওন্ডার ল্যান্ড রয়েছে। এখানে
ট্রয় ট্রেন রয়েছে। কাজল দিঘির পাড় দিয়ে ছুটে চলেছে কু-ঝিক-ঝিক ট্রয় ট্রেন। এক
টুকরো দার্জিলিং। ট্রয় ট্রেনে চেপে কাজল দিঘির রূপ দেখতে দেখতে ভ্রমনের মজাটাই
আলাদা। দিঘির পাড়ে খানিক জিরিয়ে নিয়ে খাঁচার পাখি বা খরগোসের সাথে একটু খুনসুটি
করাই যায়। শিশুদের রাইডিং গুলি খুবই মজার। ট্রয় ট্রেনে চাপতে টিকিট কেটে ‘কাজল
দিঘি’ স্টেশনে অপেক্ষা করতে হবে।
-----ক্ষণিকা মার্কেট ও নেহরু মার্কেট-----
দীঘায় রয়েছে জনপ্রিয় ক্ষণিকা মার্কেট
ও নেহেরু মার্কেট। বর্তমানে সমূদ্রের ধার বরাবর সমস্ত দোকান ভেঙে দিয়ে স্থায়ী
মার্কেট তৈরী হচ্ছে। হাতের কাজ থেকে গৃহস্থালির যাবতীয় জিনিস এখানে পাওয়া যায়। ঝিনুকের তৈরি গয়না, ঘর সাজাবার জিনিষ, নানা ধরনে শঙ্খ, শামুক, প্রবাল ইত্যাদি দিয়ে অপূর্ব সুন্দর সব জিনিষ পাওয়া যায়। এছাড়াও আছে মেদেনিপুরের
বিখ্যাত মাদুর এবং বাঁশের তৈরি নানা ধরনের শিল্প কর্ম। সন্ধ্যে বেলায় দীঘার সমুদ্র তটের ধারে বসে হরেক রকমের দোকান। সমুদ্র
পাড়েই ফেরি হয় মুক্তা কিংবা নানা রঙের সমুদ্রের পাথর। সঙ্গে সেই সব পাথর আর মুক্তার গয়না। আত্মীয় ও বন্ধুদের জন্য কিছু উপহার এখানে কেনা যেতে পারে।
-----জুনপুট-----
এখানে রাজ্য সরকারের মৎস্য
দপ্তরের মৎস্যচাষ ও
গবেষণাকেন্দ্র আছে।
-----মন্দারমণি----
দীঘা থেকে প্রায় ৩০ কিমি রাস্থা। স্থানীয় ‘মন্দার’ ফুলের
নাম থেকে হয়েছে মন্দারমনি। লাল কাকড়া
অধ্যুষিত জায়গাটি এখন
অন্যতম
জনপ্রিয়। এখন বহু পর্যটক দীঘা ছেড়ে
মন্দারমনি মুখী হয়েছেন।
----- তাজপুর-----
দীঘা
থেকে প্রায় ১৮ কিমি রাস্থা। মন্দারমনি ও দীঘার নিকটে
অপর
একটি
পর্যটন
কেন্দ্র তাজপুর তৈরী হয়েছে। এখানে
একটি
সমুদ্রবন্দর তৈরীর কাজ
চলছে।
একটু একান্ত বা যারা নিরিবিলি পছন্দ
করেন তাদের কাছে খুবই প্রিয় জায়গাটি।
-----শঙ্করপুর-----
দীঘা থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে অবস্থিত শংকরপুর। সুন্দর সমূদ্র সৈকত রয়েছে
এখানে। সবচেয়ে আকর্ষনীয় হল জেলেদের মাছ ধরা। মাছ ধরার বোটের সারি আর গাছের সারি
মুগ্ধ করবেই।
-----দীঘার কিছু বেমানান দিক-----
১। দীঘাতে কিছু বিপজ্জনক সৈকত রয়েছে।
সেগুলিতে স্নান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
২। দীঘা পলিব্যাগ বর্জিত শহর হলেও
পর্যটকদের ব্যবহৃত উচ্ছিষ্ট বহন করে চলেছে দীঘা। ডাবের খোলা, প্লাস্টিক ও কাচের
বোতল, অব্যবহৃত জুতো ইত্যাদি ভেসে বেড়ায় সমূদ্রের জলে। প্রশাসনিক নজর ও সচেতনতা
প্রয়োজন।
৩। মদ্যপ অবস্থায় সমূদ্রে স্নান করতে
নামাটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিগত দিনে বহু পর্যটকের মদ্যপ অবস্থায় সলিল সমাধি হয়েছে।
৪। কিছু সৈকতে প্রাকাশ্য মদ্যপান ও ধূমপানের
ঘটনা ঘটছে, যেটা পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত অস্বস্তিকর।
প্রশাসনিক নজরদারি প্রয়োজন।
৫। জীব-বৈচিত্র মূলক বাস্তুতন্ত্রের
সংরক্ষনের কোন উদ্যোগ নেই। পর্যটকদের অত্যাচারে একদিন হয়তো লাল কাঁকড়াও আর দেখতে
পাওয়া যাবে না।
৬। কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রচন্ড ভীড়ের
সময় অতিরিক্ত হোটেল ভাড়া দাবী করে। পর্যটকরা হোটেল খুঁজতে নাজেহাল হয়ে যায়। দালালরা
সেই সুযোগ নেয়। কেন্দ্রীয় বুকিং এর ব্যবস্থা চালু হলে পর্যটকদের সুবিধাই হবে।
শ্রী রূপেশ কুমার সামন্ত/ ০২.০৬.১৮
Warning! Copy rights reserved by the author. Any kind of copying is strictly prohibited.
No comments:
Post a Comment