Popular Posts

Sunday, 17 November 2024

India successfully conducting flight trial of long range hypersonic missile


In the X handle Ministry of Defence declared the successful conduction of a flight trial of long range hypersonic missile on 16th November, 2024. In the X handle Defence Ministry posted a press release: "The
@DRDO_India has successfully conducted a flight trial of its long range hypersonic missile on  16th Nov 2024 from Dr APJ Abdul Kalam Island, off-the-coast of Odisha". The Ministry quoted that Defence Minister Shri
@rajnathsingh had congratulated DRDO, Armed Forces and the Industry for successful flight trial of country's first long range hypersonic mission, and termed it a historic achievement.
In the X handle Rajnath Sing, the hon'ble Minister of Defence published a press release:
"India has achieved a major milestone by successfully conducting flight trial of long range hypersonic missile from Dr APJ Abdul Kalam Island, off-the-coast of Odisha. This is a historic moment and this significant achievement has put our country in the group of select nations having capabilities of such critical and advanced military technologies. I congratulate Team @DRDO_India
, our Armed Forces and the Industry for stupendous achievement". It's a great achievement of India and a great day of proud.
Photo source: the wall of DRDO site

ফিরিয়ে দাও সেই বেহুলা

👉ফিরিয়ে দাও সেই বেহুলা নদী
©রূপেশ সামন্ত
পাঁশকুড়াকে গ্রাস করতে চাইছে কংসাবতী। মানুষ না মানলেও ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে প্রকৃতির পুনরাবৃত্তির বৈজ্ঞানিক নিয়মেই পাঁশকুড়াকে একদিন গ্রাস করে নেবে কংসাবতী, এ কথা সত্য।
২০১৩ সালে এবং ২০২৪ সালে গড় পুরুষোত্তমপুর ও জন্দরায় ভাঙনের মাধ্যমে কংসাবতী তার প্রাচীন পথ ও রূপ দেখিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও রানিহাটী, চাঁপাডালি, কল্লা, ভবানিপুর, তিলন্দপুর প্রভৃতি স্থানের ভাঙন প্রবনতা প্রবল ভাবে বাড়ছে। আগামী দিনে আরও বাড়বে। কিন্তু কেন এই প্রবনতা?
আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে। মহিষাদলের রাজ সিংহাসনে তখন রাজা কল্যান রায়। তিনি সিংহাসনে আরোহন করেছিলেন ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে। তখন কাশিজোড়া পরগনার (এর মধ্যে ছিল আধুনিক পাঁশকুড়াও) সিংহাসনে আসীন ছিলেন রাজা প্রতাপনারায়ণ রায় (রাজত্বকাল ১৬২৪-১৬৬০)। মহিষাদলের রাজা কল্যান রায় কংসাবতী নদীর চাঁপাডালির কাছ থেকে খাল কেটে দক্ষিণ দিকে নিয়ে গিয়ে ফেললেন হলদি নদীতে। মালীবুড়োর 'লস্কর দিঘির মালা' গ্রন্থে সেই দৃশ্যের বর্ণনা পাওয়া যায়। সেই খালটি রায়খালি বা নয়া কাটান নামে পরিচিত ছিল। উল্লেখ্য, কংসাবতী নদীর বর্তমান প্রবাহপথ, যা চাঁপাডালির পর থেকে দক্ষিণ দিকে রয়েছে, তা আজ থেকে ৩৫০ বছর আগে ছিল না। তখন কংসাবতী নদী চাঁপাডালি থেকে পূর্ব দিকে প্রতাপপুর, চাঁচিয়াড়া, আটবেড়িয়া, রঘুনাথবাড়ি, হরশংকর, টুল্যা, রাধামনির উপর দিয়ে গিয়ে বহু শাখায় বিভক্ত হয়ে তমলুকে রূপনারায়ণে পড়ত। এই নদীখাতটি বর্তমানে অবলুপ্ত। পুরানো মানচিত্রে এই নদীখাত 'ওল্ড বেড অফ কসাই' নামে উল্লিখিত। বর্তমানের উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণে এই মজা নদীখাতের অস্তিত্ব স্পষ্ট ভাবেই জানা যায়। এই নদীটিই এককালে বেহুলা, গৌরি, গাঁঙুড়া ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিল। 
     মহিষাদলের রাজা খাল কেটে কংসাবতীর জল মহিষাদলে নিয়ে গিয়ে নিজের রাজ্যের জল-সমস্যা মেটালেও অন্য এক গভীর সংকট তৈরি করলেন। ভূ-প্রকৃতি গত ভাবে এতদঞ্চলের দক্ষিনাংশ ঢালু। ফলে কংসাবতীর বেশির ভাগ জল খাল দিয়েই প্রবাহিত হতে শুরু করল। ধীরে ধীরে খালটিই কংসাবতীর মূল প্রবাহ হয়ে গেল। আগের প্রবাহপ্রথটি মজা নদীতে পরিনত হতে থাকল। ধীরে ধীরে তা বেহুলা নদী নামে ক্ষীণধারায় প্রবাহিত হতে লাগল। LSS O'Malley সাহেব তাঁর ১৯১১ সালের ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারে ১০০ বছর আগেও বেহুলা বা গৌরি নদীর প্রবহমানতার কথা উল্লেখ করে গেছেন। অর্থাৎ ১৮১১ সালেও এই নদী ক্ষীণ হলেও প্রবহমান ছিল। ১৮৫২ সালে ব্রিটিশরা চাঁপাডালিতে বেহুলার মুখ স্থায়ী ভাবে বেঁধে দিল। এইভাবে সমাধিস্থ হল প্রকৃতির প্রবাহ পথের। 
    কংসাবতীর নিম্ন-প্রবাহপথের এই পরিবর্তনই হল প্রকৃতির উপর মানুষের হস্তক্ষেপের জ্বলন্ত উদাহরণ। খাল কেটে ও গতিপথে বাঁধ দিয়ে মানুষের হস্তক্ষেপে একটি নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার মোহনাও পরিবর্তন হয়ে গেছে রূপনারায়ণ থেকে হলদি নদীতে।
     প্রকৃতির উপর হস্তক্ষেপ প্রকৃতি কখনো মানবে না। সে বারবার জানানও দিচ্ছে। ভূ-প্রকৃতির নিয়মেই কংসাবতীর নিম্ন উপত্যকা ক্রমশ উঁচু হচ্ছে। কংসাবতী ফিরে পেতে চাইছে তার আদিপথ- বেহুলা নদীর পথে। কংসাবতীর প্রাচীন সেই বেহুলা নদীর পথে আজ গড়ে উঠেছে কংক্রিটের নির্মান। নদীখাতকে গ্রাস করেছে মানুষ। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, কংসাবতী গ্রাস করবে তার প্রাকৃতিক পথকে প্রাকৃতিক নিয়মেই। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সূত্র মেনেই বেহুলা নদীর খাত ধরে পাঁশকুড়াকে একদিন গ্রাস করে নেবে কংসাবতী। প্রকৃতির রুদ্র রূপের কাছে মানুষ বড়ই অসহায়। তার ধ্বংসলীলার কাছে মানুষ খড়-কুটোর মতো ভেসে যাবে একদিন। কংসাবতী ফিরিয়ে নেবে তার আদি প্রাকৃতিক পথ। সময় থাকতেই ফিরিয়ে দাও সেই বেহুলা নদী। 
©রূপেশ সামন্ত


পাঁশকুড়ার অপরূপা এক নদী বাকসী

© রূপেশ কুমার সামন্ত
সুজলা সুফলা পাঁশকুড়ার পশ্চিমে মায়াবী আঁচলে বয়ে চলা এক নদী হল বাকসী। অনেকে একে খালও বলে থাকে। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের জলরাশিতে পুষ্ট হওয়া অপরূপা এই নদী অবিরাম প্রবহমান। পাঁশকুড়ার গ্রামগঞ্জ, মানুষের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে মিশে আছে এই নদী। এই নদীর কতিপয় স্বকীয়তা আছে। নিরন্তর বয়ে চলাই তার বৈশিষ্ট্য। এই নদীতে খেলে জোয়ার-ভাটা। কখনো উজানে স্রোত, কখনো ভাটিতে। মাঝে মাঝে দুই তীরকে ভাসিয়ে জল ও পলি দিয়ে সজীব ও উর্বর করে তুলে। নদীর ওপর দিয়ে চলে নৌকা, ডোঙা, ভেলা। নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে হাটবাজার, গ্রাম-গঞ্জ। বক, মাছরাঙা খেলা করে এই নদীর জলে। পানকৌড়িরা নদীর বুকে ডুব দিয়ে মাছ শিকার করে। জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। আবার কখনো কখনো রুদ্ররূপ ধারণ করে গ্রাস করে নেয় গ্রামজনপদ, ঘরবাড়ি ও ফসলের জমি। বর্ষায় এই নদী যেমন ভয়ংকরী, আবার শীতে হাঁটুজলে সেই নদীই সুন্দরী। তখন বিস্তৃত উপত্যকা জুড়ে শুধুই বাহারী ফুল আর সব্জী। এই নদী নিয়ে কত গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গান স্থান পায় বইয়ের পাতায়। লাজুক পল্লিবধূর মতা ছন্দ তুলে এঁকেবেঁকে চলা সেই নদীই হল বাকসী।

উৎস সন্ধানে
ডেবরা ব্লকের দক্ষিন হীজলদা গ্রামে মেদিনীপুর ক্যানেল থেকে বাকসী নদীর সৃষ্টি। মেদিনীপুর ক্যানেলে বাকসী নদীর সৃষ্টি মুখে রয়েছে লকগেট বা পুল। এটিকে ‘ঝাঁপার পুল’ বলে। বৃটিশ আমলে লকগেট বা পুলটি এমন ভাবে তৈরি, যাতে বর্ষাকালে মেদিনীপুর ক্যানেলের অতিরিক্ত জল ঝাঁপিয়ে বাকসী নদীতে ঢোকে। তাই এই লকগেটটির ‘ঝাঁপার পুল’ নামে পরিচিত।

প্রবাহ পথ
মেদিনীপুর ক্যানেলের ‘ঝাঁপার পুলে’র কাছে বাকসী খাল সৃষ্টি হয়ে ডেবরা ব্লকের দক্ষিন হীজলদা গ্রামকে পশ্চিম দিকে রেখে ও পাঁশকুড়া ব্লকের ঘোষপুর গ্রামকে পূর্ব দিকে রেখে দক্ষিন দিকে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর সুন্দরপুরের রেলপুল পেরিয়ে হাউর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাউর গ্রাম, হরশঙ্কর গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কালিদান গ্রামে এসে বাকসী নন্দী পূর্বদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়েছে। খালটি পূর্বদিকে রাধাবনেরর কছে ক্ষীরাই নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীর পরবর্তী অংশ ক্ষীরাই-বাকসি নাম নিয়ে দক্ষিন-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে কংসাবতী নদীতে মিশেছে। উল্লেখ্য, কালিদান গ্রামে বাকসি খালের একটি শাখা পাটচাঁদা খাল নামে সৃষ্টি হয়ে পিংলার গোবর্ধনপুর হয়ে দক্ষিন দিকে প্রবাহিত হয়ে চণ্ডিয়া নদীতে মিশেছে।

প্রকটতা
বাকসী নদী মূলত বর্ষায় মাঠের জল ও মেদিনীপুর ক্যানেলের অতিরিক্র জলে পুষ্ট। বর্ষাকালে কালিদান গ্রাম থেকেই বাকসী খালের ভয়ংকর রূপ প্রকট হয়। একই ভাবে এতদঞ্চলে অর্থনীতিতেও এই নদীর প্রভাব অত্যন্ত প্রকট।

Thursday, 14 November 2024

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট : ছাত্ররা দাবার ঘুঁটি নাত্র

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট : ছাত্ররা দাবার ঘুঁটি মাত্র

আপাত ভাবে যেটি দৃশ্যত পরিস্ফুট, তা হল- ছাত্রদের বৈশম্য বিরোধী প্রবল কোটা আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং এই আন্দোলনে বহু প্রাণ চলে যায়কিন্তু গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখলে বোঝা যায়, বিষয়টিকে স্বাভাবিক জনরোষের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে দেখালেও আসলে বিষয়টি যে বিরাট রাজনৈতিক দাবা খেলার অংশ তা ধীরে ধীরে পরিস্কার হচ্ছে এবং ছাত্ররা কেবল সেই দাবার ঘুঁটি ছিল মাত্র

দীর্ঘ বছরের সেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রতিষ্ঠান বিরোধী মানসিকা জনমানসে তৈরি হয়েছিল, এটা অস্বীকার করা যায় নাবিভিন্ন ক্ষেত্রে হাসিনা সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল না, একথাও বলা যায় নাতেমনি হাসিনা সরকার যে বছরে একেবারেই ব্যর্থ ছিল, একথাও বলা যায় নাদেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, বিদ্যুৎরাস্তাঘাট, পানীয় জল বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাসিনা সরকারের উল্কেখ্যযোগ্য অবদান ছিল

কিন্তু প্রশ্ন হল- বাংলাদেশে কেন এমন রাজনৈতিক সংকট তৈরি হল?

উত্তর খুঁজতে গেলে অনেক গুলি বিষয় সামনে চলে আসেআর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে, এই রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ছাত্র সমাজকে দাবার ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে

বৈশম্য বিরোধী আন্দোলন মোকাবিলায় শাসক দল হিসাবে আওয়ামী লীগ চরম ব্যর্থ ছিলতা না হলে আন্দোলনের উৎস শক্তি সম্পর্কে আগাম অনুধাবন করতে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হল কেন? পালটা আন্দোলন গড়ে তোলা বা সরকারকে রক্ষা করতে রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ  পারল না কেন? এখানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল নির্মানের ব্যর্থতা, দলীয় কাঠামো নীতির অবক্ষয় নেতা-কর্মীদের অন্ত:সার শুন্যতা, নেতা-কর্মীদের বিচ্যুতিই প্রকট

সরকারের প্রতি জনগণের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা শাসক দলের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এতদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি, যেমন বি এন পি, জামাত ইত্যাদি সরকারকে বিপাকে ফেলতে সচেষ্ট হয়ঠিক সেই সময়ই তাঁদের সামনে বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উর্বর ভুমিকে কাজে লাগানোর সুযোগ এসে যায়সরকারকে বিপাকে ফেলার এই সুযোগকে কৌশলগত ভাবে কাজে লাগানো অন্যায় নয়

কিন্তু আন্দোলনের একটা পর্যায়ে গিয়ে ছাত্ররা আর তাদের গন্ডী ধরে রাখতে পারেনিবৈশম্য বিরোধী আন্দোলনের যে দাবী ছিল, তা সুপ্রিম কোর্টের রায় সরকারের মেনে নেওয়ার পর, ছাত্রদের আর নতুন করে আন্দোলনের জায়গা নেইকিন্তু এরপর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে ছাত্রদের ঢাল করে এবং সফল হয়আসলে এই আন্দোলনে ছাত্রদের এক উদ্দেশ্য থাকলেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর গোপন এজেন্ডা আলাদা ছিলছাত্ররা এই গোপন জায়গাটি ধরতে পারেনি অথবা তারাও গোপনে যুক্ত ছিলযাইহোকপরবর্তী কালে ছাছ্রদের ক্ষমতায় যোগদানের মধ্য দিয়ে গোপন যোগসাজশের বিষয়টিকেই পরিস্ফুট করেক্ষমতায় যোগদান করাটাও ছাত্রদের এক মহা ভুল, তা ভবিষ্যৎ বলবেতবে সার্বিক ভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন ক্ষমতার গ্রহনের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে, ছাত্রদের যে ব্যবহার করে রাজনৈতিক যে পটপরিবর্তন ঘটানো হয়েছে, তাতে ছাত্ররা যে কেবলই দাবার ঘুঁটি ছিল, তা ভবিষ্যৎ প্রমান করে দেবে

© রূপেশ সামন্ত

Friday, 8 November 2024

On the Way of the Evolution of Santali Culture

 

On the Way of Evolution of Santali Culture 

In the distant past, people of the Austric language group inhabited from northern India to Easter Island of the Pacific Ocean. Their noses are broad and flat, their complexions are black and their hair is wavy. They migrated from India to Australia approximately 30-40 thousand years ago. The descendants of that Austric group are called Santal.

     The Santals have strong adherence to social customs. Their own judicial system is extraordinary. The village Panchayet is made up of five foremen. They are Manjhi, Paranik, Jag Manjhi, Godet and Naike. Pargana Panchayet is formed by adding the foremen of some village Panchayet. Its head is called Pargana. The next larger system is the Desh Panchayet. Above these three tiers of judiciary system there is the La’bir or Supreme Court.

     Santal society is basically divided into 12 sections. They are Kisku, Hansda, Murmu, Hembram, Mandi, Soren, Tudu, Baske, Bedia, Besra, Pauria and Chonre. Handia is one of the drinks in the diet chart of Santals. Handia is a favorite drink of Santals. Dhoti and turban are quite popular as the general attire of Santals. Thick sarees are quite popular as girls wear. The Santals are festive people. Two types of festivals are generally seen: birth-death-marriage oriented festival and Parban oriented festival. Santals have their own language and their own religion. But there is no scripture. Santal society is rich in endless elements of folk culture. It is true that the Santal community has been nurturing the uniqueness of their traditions for thousands of years. But their traditions have been changed and evolved in many ways due to the invasion of modernity and other communities.