Popular Posts

Monday, 13 April 2020

Think before criticizing a teacher

আজ সমাজে শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি সমালোচিত। এই করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে চর্চিত প্রশ্ন হল- 'শিক্ষকদের বেতন কেন কেটে নেওয়া হবে না?' কিন্তু একবারও চর্চা হচ্ছে না- একটি মানব জাতি গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা কি! আজ করোনা পরিস্থিতিতে ডাক্তার-নার্স-পুলিশ মানব রূপী ভগবান। অবশ্যই। তাদের স্যালুট জানাই। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখা হবে না- এই ডাক্তার, নার্স, পুলিশরাও শিক্ষকের হাতে গড়া ভগবান। একজন ডাক্তারও জটিল অসুখের রহস্য কিনারায় বা অপারেশনের ছুরি হাতে ধরার পূর্বে গূরুর শিক্ষার কার্যকরী রূপদানে তাঁর গূরুকেই স্মরণ করে। নার্স থেকে পুলিশ, তাদের সর্বোৎকৃষ্ট অবস্থানে থেকেও তাঁর গূরুর সামনে আজও মাথা নত করে। তাঁদের আজকের ঐ অবস্থানও যে এই শিক্ষকদেরই হাত ধরে। ইতিহাস বলে, যুগে যুগে মানব সভ্যতা বিভিন্ন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। সেটা দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামীই হোক বা দেশ গঠনের লড়াইই হোক। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত থাকে শিক্ষকদের উর্বর মস্তিস্ক। তাদেরই শক্তিশালী ছাতার তলায় ছাত্ররা দাঁড়িয়ে মানব রূপী ভগবান হয়ে রক্ষা করে সভ্যতাকে। যে দেশের মানব সম্পদ যত বেশি শক্তিশালী, সেই দেশ তত দ্রুত তার সংকট মোকাবিলা করতে পারে। আর এই মানব সম্পদকে শক্তিশালী রূপে গঠনের গূরুদায়িত্ব যে এই গুরুদের উপরই! আসলে কোন এক সংকটকালে এক একটি কর্মী সম্প্রদায় বাস্তবিকই ভগবান হয়ে ওঠে। তার মানে এই নয় যে, অন্য যারা সেই সময় কর্মহীন, তারা অর্থহীন! এই করোনা সংকট কাটলেই আবার এক বড় সংকটের মোকাবিলা করতে হবে। সেটা শিক্ষা ক্ষেত্রের সংকট! শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার লড়াই। থমকে যাওয়া সভ্যতাকে আবার সচল করার লড়াই। তখন আবার গূরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এই শিক্ষক সমাজই। শিক্ষা সময়ের ঘড়ি ধরে চলে। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে পিছিয়ে পড়ার জায়গা নেই। সময় ধরে ছাত্রের কাছে শিক্ষা ও সার্টফিকেট পৌঁছে দিয়ে সভ্যতাকে সচল রাখার গূরুদায়িত্ব নেবে সেই শিক্ষক সমাজই। সত্যিই কি তাই কর্মহীন বৃদ্ধ বাবা-মাকে ঘরে বসিয়ে খাওয়ানো উচিৎ?

No comments:

Post a Comment