Posts

Showing posts from December, 2023

পাঁশকুড়ার রেশম ব্যবসায়ীর নামেই নামকরণ হয় কালকাতার কাশিপুর

Image
পাঁশকুড়ার রেশম ব্যবসায়ীর নামেই কলকাতার কাশিপুর নামকরণ  © রূপেশ কুমার সামন্ত, লেখক, ‘পাঁশকুড়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য' প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইভান কটন এক জায়গায় লিখেছেন, "কাশীপু্রের তীরবর্তী অংশটি নদীর (হুগলি নিদী) তীরবর্তী সবচেয়ে সুন্দর অংশগুলির অন্যতম। এইখানে অনেকগুলি বাগানবাড়ি অবস্থিত। সেই যুগেই কাশীপুর একটি শিল্পাঞ্চল হিসাবে গড়ে ওঠে। এখানে স্থাপিত হয় গভর্নমেন্ট গান ফাউন্ড্রি, স্নাইডার ও রাইফেল শেল কারখানা (কর্নেল হাচিনসন কর্তৃক স্থাপিত) এবং একাধিক চিনিকল ও চটকল”। কাশিপুরেই রয়েছে ভারত সরকারের বিখ্যাত 'গান এন্ড শেল ফ্যাক্টরি'। এই ফ্যাক্টরির স্থানেই ছিল ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মূলত রেশমজাত সুতার গুদাম। আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে রেশম উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল তৎকালীন রাধানগর (ঘাটাল), কুতুবপুর, নাড়াজোল, কাশিজোড়া পরগনা (পাঁশকুড়া)। এই অঞ্চল গুলিতে যে উন্নতমানের রেশম চাষ হত, তা জানা যায় ও’মালির ‘বেঙ্গল ডিষ্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার- মেদিনীপুর’ গ্রন্থ থেকে। অর্থ্যাৎ ঘাটাল, দাসপুর, নাড়াজোল, পাঁশকুড়া জুড়ে এক বৃহৎ অঞ্চলে উন্নতমানের রেশম চাষ হত। এতদঞ্চলের রেশম ব্যবসায়ীদের ...

Panskura Fire-testing Range Wall

Image
ভারত-চিন যুদ্ধের ইতিহাস বুকে আজও দাঁড়িয়ে কনকপুরের ফায়ার-টেস্টিং রেঞ্জ ওয়াল © রূপেশ কুমার সামন্ত  সীমানা নিয়ে বিরোধ থেকে ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। চিন তিব্বত দখল করার পর ভারতের বর্তমান অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চীনকে চিন তাদের অন্তর্ভুক্ত এলাকা বলে দাবী করে। সেই নিয়েই যুদ্ধের সূত্রপাত। চিনের এক তরফা আগ্রাসন রুখতে ভারত তার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। সেই লক্ষ্যে কলেজ ছাত্রদের বাধ্যতামূলক মিলিটারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। মিলিটারি প্রশিক্ষণের অন্যতম অংশ ছিল বন্দুক চালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া। সেই প্রকল্পে পাঁশকুড়া বনমালি কলেজের ছাত্রদের মিলিটারি প্রশিক্ষণ দিতে পাঁশকুড়া পৌরসভার কনকপুরের ফাঁকা মাঠে মিলিটারি ট্রেনিং ক্যাম্প তৈরি করা হয়। নির্মান করা হয় একটি উঁচু চওড়া দেওয়াল। এই দেওয়ালকে নিশানা করে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। এই দেওয়ালটিকে ফায়ার টেস্টিং রেঞ্জ ওয়াল বলা হয়। ভারত-চিন যুদ্ধের ইতিহাস জড়িত এই ওয়াল বর্তমানে পরিত্যক্ত। জঙ্গল-আগাছার আগ্রাসনে তা ধ্বংসের প্রহর গুনছে। কারুর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই সংরক্ষণের। ইতিহাসের শেষ চিহ্নটুকু শুধু...