বিস্ময়ের প্রাচীন বৃহৎ শিবলিঙ্গ
© পাঁশকুড়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য, রূপেশ কুমার সামন্ত
কথিত আছে, এক জমিদার বাড়ির মন্দিরে প্রতিষ্ঠার জন্য এই বৃহৎ শিবলিঙ্গটি বহু ক্রোশ দূর থেকে আনা হচ্ছিল। জমিদার বাড়ির কর্মচারীরা শিবলিঙ্গটি কাঁধে করে বহন করছিল। পথিমধ্যে তাঁরা ক্লান্ত হয়ে শিবলিঙ্গটি মাটিতে নামিয়ে রেখে বিশ্রাম করছিল। বিশ্রাম শেষে শিবলিঙ্গটি আবার বহন করতে গেলে কিছুতেই আর কাঁধে তুলতে পারল না। শিবলিঙ্গটি প্রচণ্ড ভারি হয়ে যায়। রাত্রে স্বপ্নাদেশ হয়, বাবা শিব এখানেই অবস্থান করবেন। আর কোথাও যেতে চান না। সেই থেকে গোবিন্দনগর অঞ্চলের পূর্ব রাজনগর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় এই শিবলিঙ্গটি। কালো পাথরের বিরাট আকৃতির শিবলিঙ্গটি দেখলে বিস্ময়ের উদ্রেক হয়। এটি পাঁশকুড়া ব্লকের মধ্যে বৃহৎ শিবলিঙ্গ।
শিবলিঙ্গটি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে আটচালা রীতিতে তৈরি এক প্রাচীন মন্দিরে। দক্ষিণমুখী মন্দিরটির দৈর্ঘ ও প্রস্থ যথাক্রমে ১৩ ফুট ও ১২ ফুট। উচ্চতা ২৫ ফুট। চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি মন্দিরের গর্ভ গৃহের ছাদ খিলানের উপর ভল্ট করা। মন্দিরটি জরাজীর্ণ ও অশ্বত্থ গাছ দ্বারা বেষ্টিত। অশ্বত্থ গাছটি পুরো মন্দিরটিকে এমন ভাবে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে যে, একঝলকে এটিকে বিস্ময়কর বৃক্ষমন্দির বলে মনে হবে।
মন্দিরে নিত্যপূজা হয়। প্রতিবছর বৈশাখী গাজন মেলা হয়। মনস্কামনা পূরণে দূর-দূরান্তের ভক্তরা এখানে আসে।
পুস্তক- পাঁশকুড়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য
লেখক- রূপেশ কুমার সামন্ত
প্রাপ্তি স্থান- দিপীকা বুক স্টল, পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন বাজার
ক্যুরিয়ারে পেতে- 9153099507
No comments:
Post a Comment