CREATION
Every secret of soul, every experience of life, every quality of mind...
Popular Posts
-
-----মাহে রমযান----- শ্রী রূপেশ কুমার সামন্ত/ রমযানের শান্তির বানী, নব-প্রভাতের বানী অনুরণিত হয় কাজী নজরুল ইসলামের লেখনীতেও। ‘...
-
-------- ------ ---- অপরূপা দীঘার হাতছানি ---- ------ -------- শ্রী রূপেশ কুমার সামন্ত/ ০২.০৬.১৮ / ভ্রমন কাহিনী টমাস উইলসন...
-
২৫ শে বৈশাখ রবীন্দ্র জন্ম-জয়ন্তীতে শ্রদ্ধার্ঘ… -----চলো যাই শান্তিনিকেতনের তরুবীথি তলে----- ছবি ও লেখা -শ্রী রূপেশ কুমার সাম...
-
DAYBREAK Henry Wadsworth Longfellow 1. Give the substance of the poem, ‘Daybreak’. At dawn, a wind rises from...
-
My Own True Family Ted Hughes 1. When did the poet come twice awake? Ans. The poet came twice awake when the old woman ...
-
-----মূল রামায়ণে দুর্গা পূজার অস্তিত্বই নেই---- - লেখক- শ্রী রূপেশ সামন্ত [‘অকালবোধন’ কেন? ‘বারোয়ারী’ পূজা বলে কেন? ‘মহাভারতে’ কি...
-
তৃণমূল নেতা কুরবান শা'কে গুলি করে হত্যা পাঁশকুড়া, অক্টোবর ৮ঃ পাঁশকুড়ার মাইশোরায় নিজের অফিসেই গুলি করে হত্যা করা হল তৃনমুল কংগ্রেসে...
-
ASLEEP IN THE VALLEY Arthur Rimbaud How does the picture of the sold...
-
LEELA'S FRIEND R. K. Narayan Analytical/ Descriptive Type Questions- Marks 5 List the ways in which Sid...
-
WARNING! PARTHENIUM WEEDS Written & Pic by - Rupesh Kumar Samanta / 28.04.2018 You lovingly gifts a bunch of white Part...
Saturday 9 March 2024
বিস্ময়ের প্রাচীন বৃহৎ শিবলিঙ্গ
Sunday 31 December 2023
পাঁশকুড়ার রেশম ব্যবসায়ীর নামেই নামকরণ হয় কালকাতার কাশিপুর
Thursday 28 December 2023
Panskura Fire-testing Range Wall
Sunday 14 November 2021
গনগনি- বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন
গনগনি- বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন
©রূপেশ সামন্ত
নদীর পাড়ে ছিল এক বিরাট রাক্ষস। নাম তার বকরাক্ষস। সে প্রতিদিন একজন করে মানুষকে খেত।
তার আহার হিসাবে গ্রামের একজন করে মানুষ তার কাছে পালা করে যেত। একদিন এক গরীব ব্রাহ্মনের পালা পড়ল। সে নদীর পাড়ে বসে দুঃখে কষ্টে কাঁদতে শুরু করল। অজ্ঞাতবাসে ঘুরতে ঘুরতে মহাভারতের যুধিষ্ঠিরের নজরে পড়ল এই দৃশ্য। যুধিষ্ঠির সমস্ত ঘটনা শোনার পর ভীমকে বকরাক্ষস বধ করার জন্য নির্দেশ দিলেন। প্রবল যুদ্ধের পর ভীম বকরাক্ষসকে বধ করেন। ভীম ও রাক্ষসের প্রবল দাপাদাপিতেই এই গিরিখাতের সৃষ্টি হয়। অনেকে সাদা অস্থির ন্যায় দেখতে প্রস্তরখণ্ডগুলিকে বকরাক্ষসের অস্থি-পিঞ্জর বলে অভিহিত করেন। শুধু মহাভারতীয় এই কিংবদন্তী নয়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গনগনির শিলাবতী নদীর পাড়ের উঁচুনিচু পাথরের উপত্যকার সৌন্দর্য স্থানটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।মহাভারতের সঙ্গে স্থানটির কোন প্রত্যক্ষ ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে কিনা জানা নেই, তবে জল-আবহাওয়ার প্রত্যক্ষ প্রভাবে যে এই অপরূপ সুন্দর দৃশ্যপটের সৃষ্টি হয়েছে তা অস্বীকার করার জায়গা নেই।
জলের স্রোত ও বাতাসের ক্রমাগত ঘর্ষণের ফলে এইরূপ গিরিখাত বা ক্যানিয়নের সৃষ্টি হয়েছে। একে আরিজোনার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হয়। গনগনিকে 'বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন' বলা হয়। লাল-হলুদের ঢেউ খেলানো পাথুরে প্রান্তর, কাজুবাদাম গাছের সারি, শাল পিয়ালের দোলা, তালের সারি, শিলাবতীর কুলকুল প্রবহমানতা সৌন্দর্য প্রিয় মানুষকে টেনে আনে এখানে।শুধু গনগনির গিরিখাত নয়, পাশাপাশি রয়েছে বেশকিছু প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ মন্দির। রয়েছে প্রসিদ্ধ বারোশিব ও লক্ষ্মীজনার্দন মন্দির।
গড়বেতার সত্যনারায়ণ মোড়ে এই মন্দির গুলির অবস্থান। এখানে সারিবদ্ধভাবে রয়েছে বারোটি শিব মন্দির। সেগুলি হল বৈদ্যনাথ, অমরেশ্বর, মহাকাল, মল্লিকার্জুন, সোমনাথ, ভীমশংকর, রামেশ্বর, নাগেশ্বর, বিশ্বেশ্বর, এম্যকেশ্বর, কেদারনাথ ও ঘুশ্নেশ্বর। পাশেই রয়েছে একরত্ন লক্ষ্মীজনার্দন মন্দির। মন্দিরগুলি পঞ্চরথের শিখর দেউল রীতিতে নির্মিত। আনুমানিক ১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ মন্দির গুলি নির্মিত। অপরূপ সুন্দর ও প্রসিদ্ধ এই মন্দিরগুলি মনকে প্রসন্ন করবেই।পাশাপাশি প্রসিদ্ধ মহাশক্তি সর্ব্বমঙ্গলা মন্দিরটি একটি প্রাচীন কীর্তি। প্রতিষ্ঠাকাল জানা যায় না। কেউ কেউ বলেন, বগড়ীর প্রথম রাজা গজপতি সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন মন্দিরটি।
আবার কেউ কেউ বলেন, মহাভারতীয় কালে উজ্জয়নীপতি রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালে জনৈক সিদ্ধ পুরুষ দেবীমূর্তির প্রতিষ্ঠা করেন। কিংবদন্তি রয়েছে, উজ্জয়নিপতি রাজা বিক্রমাদিত্য এখানে এসে শব সাধনা করেগিয়েছেন।পাশাপাশি রয়েছে 'ঘটি' শিবের মন্দির। মন্দিরে রয়েছে বিরাট শিবলিঙ্গ।
কিংবদন্তী রয়েছে, এই শিবলিঙ্গ নাকি প্রতিদিন বড় হত। ব্রাহ্মণের পূজা করতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই তিনি একদিন শিবলিঙ্গের মাথায় ঘটি দিয়ে আঘাত করেন। ফলে সেই অবস্থায় শিবলিঙ্গটি মাথায় বিকৃতি নিয়ে রয়েছে।পাশাপাশি চিংড়িবাঁধের কাছে রয়েছে শৈলেশ্বর জিউ শিব মন্দির, ভদ্রকালী ও ভদ্রকেশ্বর শিব মন্দির। শিলাবতীর তীরে এই মন্দিরগুলি অপরূপ সুন্দর।
পথনির্দেশ
দক্ষিন-পূর্ব রেলের হাওড়া থেকে ট্রেনে গড়বেতা স্টেশন যেতে হবে। পথ প্রায় ১৭৪ কিমি। সড়ক পথেও যাওয়া যাবে। পুরো পথ চারচাকা চলাচলের যোগ্য। গড়বেতা স্টেশন থেকে টোটো বা অটো করে দর্শনীয় স্থানগুলিতে যাওয়া যাবে।
রাত্রিবাসের জন্য গড়বেতা স্টেশন সংলগ্ন বেশকিছু ছোট বড় হোটেল রয়েছে। স্টেশন থেকে গনগনির ক্যানিয়ন যেতে টোটো ভাড়া জন প্রতি ১৫/- টাকা। গনগনির ক্যানিয়ন সহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলি দেখার জন্য স্টেশন থেকে টোটো বা অটো বুক করে নেওয়াই ভালো। সেক্ষেত্রে ভাড়া লাগবে ৩০০/- থেকে ৪০০/- টাকা।©রূপেশ সামন্ত
Thursday 14 October 2021
আঠারো হাত দুর্গা- পাঁশকুড়ার অনন্য পুরাকীর্তি ফলক
আঠারো
হাত দুর্গা- পাঁশকুড়ার অনন্য পুরাকীর্তি ফলক
©রূপেশ সামন্ত
দেবতারা নিজ নিজ বাসস্থান ছেড়ে
চলে যাচ্ছেন। মহিষাসুরের কাছে পরাজিত হয়ে দেবতার তখন চরম দুরবস্থার মধ্যে। তাঁরা প্রথমে
ব্রহ্মার কাছে গেলেন। এরপর ব্রহ্মাকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা নারায়ণের কাছে গেলেন। সেখানে
একই আসনে আসীন রয়েছেন শিব ও বিষ্ণু। তাঁরা দুই দেবতার নিকট মহিষাসুরের অত্যাচারের কাহিনী
তুলে ধরলেন এবং সহায়তা প্রার্থনা করলেন। দেবতারা বললেন, ‘এখন আমরা আপনাদের শরণাপন্ন।
আমাদের বিপদ থেকে রক্ষা করুন। না হলে আমাদের রসাতলে আশ্রয় নিতে হবে’। একথা শুনে ক্রুদ্ধ
শংকর দাবানলের মতো রাগে জ্বলে উঠল। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর সহ সমস্ত ক্রুদ্ধ দেবতাদের
মুখ থেকে বেরিয়ে এলো এক জ্যোতির্ময় তেজ। এই তেজোরাশি এক বিশাল পর্বতশৃঙ্গের আকৃতি নিল
এবং কাত্যায়ন মুনির আশ্রমে একত্রিত হল। কাত্যায়ন মুনি নিজ তেজে সেই তেজোরাশিকে আরো
শক্তিশালী করলেন। সেই তেজোরাশি থেকে আবির্ভূতা হলেন সহস্র সূর্যের মতো উজ্জ্বল অষ্টাদশভূজা
দেবী কাত্যায়নী।
মহেশ্বরের তেজে কাত্যায়নীর
মুখ, অগ্নির তেজে তিনটি চোখ, যমের তেজে চুল, হরির তেজে আঠারোটি হাত, চন্দ্রের তেজে
স্তন, ইন্দ্রের তেজে শরীর মধ্যস্থান, বরুনের তেজে উরু-জঙ্ঘা-নিতম্ব, ব্রহ্মতেজে পা,
সূর্য ও ইন্দ্রের তেজে কান, অশ্বিনীদ্বয়ের তেজে ভ্রু গঠিত হল।
শিব তাঁকে দিলেন ত্রিশূল, বিষ্ণু দিলেন সুদর্শন চক্র, বরুণ দিলেন শঙ্খ, অগ্নি
দিলেন শক্তি, বায়ু দিলেন ধনুক, সূর্য দিলেন তূণীর, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, কুবের দিলেন গদা, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা
ও কমণ্ডলু, কাল দিলেন খড়্গ ও ঢাল এবং বিশ্বকর্মা দিলেন কুঠার ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এইভাবে অস্ত্রসজ্জিতা
হয়ে দেবী কাত্যায়নী সিংহ বাহিনী হয়ে চলে গেলেন বিন্ধ্য পর্বতে। হরিবংশ গ্রন্থে দেবী অষ্টাদশভূজাকে নিম্নরূপে
বর্ণনা করা হয়েছে-
অষ্টাদশভূজা দেবী দিব্যাবরণভূষিতা।
হারশোভিতাসর্বাঙ্গী মুকুটোজ্জ্বলভূষণা।।
কাত্যায়নী স্তূয়সে ত্বং বরমগ্রে প্রযচ্ছসি।
সেখানে চণ্ড ও মুণ্ড নামে অসুরদ্বয় তাঁকে দেখে
তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাদের রাজা মহিষাসুরের নিকট দেবীর অপরূপ রূপ বর্ণনা করেন। মহিষাসুর দেবীকে লাভ
করবার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। দেবী জানান, ‘যে ব্যক্তি তাদের বংশের রমনীকে যুদ্ধে জয়
করতে পারবে সেই তার পতি হবে’। মহিষাসুর মহিষের রূপ ধরে দেবীকে আক্রমণ করেন। দেবী তাঁকে
তীব্র পদাঘাত করেন। এরপর দেবী অচৈতন্য মহিষাসুরের মস্তক ছিন্ন করলেন।
‘বামন পুরাণ’
পাঠ করলে এই কিংবদন্তীটি আমরা পাই। ‘বামন
পুরাণে’র অষ্টাদশ, উনবিংশ ও বিংশ অধ্যায়ে এই কাহিনীর বিস্তৃত বিবরণ রয়েছে। কাত্যায়নী হলেন হিন্দু দেবী দুর্গার একটি বিশেষ
রূপ। পৌরাণিক কাহিনী নির্ভর অষ্টাদশভূজা দুর্গার এই রূপটির অনন্য সাধারণ পোড়ামাটির
ফলক রয়েছে মাইশোরার মাংলইয়ের রাধাদামোদরজিউ মন্দিরে। মন্দিরের
দেওয়ালের অসংখ্য টেরাকোটা ফলকের মধ্যে এই বিশেষ ফলকটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই। এই মন্দিরের দুই দিকে বিস্ময়কর
ভাবে ঘিরে রয়েছে দু’টি শিব মন্দির। ©রূপেশ সামন্ত
[এ সম্পর্কিত আরও বিস্তৃত তথ্য সম্বলিত আমার লিখিত পুস্তক
আসছে খুব শীঘ্রই। আপনারা অনুসরণ করতে পারেন। দয়া করে কেউ কপি-পেস্ট করবেন না। ভালো
লাগলে শেয়ার করুন।]