মাটির 'সোরা'। কুমোর শিল্প।

মাটির 'সোরা'। কুমোর শিল্প। এই গ্রীষ্মে এগুলির চাহিদা প্রচুর। বিষেষত এই সময় মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের অনুগামী ও বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীরা হরিনাম সংকীর্তন বা নিশিকীর্তনের পর নানাস্থানে মহোৎসবের আয়োজন করে। এই ধরনের মহোৎসবে পোড়ামাটির 'সোরা' প্রসাদ বিতরণে ব্যবহৃত হয়। তাই এই সময় মাটির 'সোরা' তৈরিতে কুম্ভকার পাড়ায় ব্যস্ততা তুঙ্গে থাকে। মাটির 'সোরা' গুলিকে রোদে শুকিয়ে খড়ের আগুনে ভাটিতে পোড়ানো হয়। এরপর পোড়ামাটির 'সোরা' গুলি চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। ছবিতে 'সোরা' গুলি পাঁশকুড়া ব্লকের চৈতন্যপুর-২ অঞ্চলের কিসমত জগন্নাথ চক গ্রামের কুম্ভকার পাড়ার। এই শিল্প এখন অবলুপ্তপ্রায়। শিল্পজাত দ্রব্যগুলি অলাভজনক হওয়ায় শিল্পীরা উৎসাহ হারাচ্ছে। তারা অন্য পেশায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। প্রয়োজন উন্নত শিল্প-পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও লাভজনক বিপনন ব্যবস্থা তৈরি করা। ✍️রূপেশ সামন্ত

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

Essay [রচনা]- মাহে রমযান

Image
-----মাহে রমযান----- শ্রী রূপেশ কুমার সামন্ত/ রমযানের শান্তির বানী, নব-প্রভাতের বানী অনুরণিত হয় কাজী নজরুল ইসলামের লেখনীতেও। ‘কেন জাগাইলি তোরা’ শীর্ষক কবিতায় মাহে রমজান প্রসঙ্গ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ- “মাহে রমজান এসেছে যখন, আসিবে ‘শবে কদর’ নামিবে রহমত এই ধূলির ধরার পর।… … … আমি দেখিয়াছি – আসিছে তোদের উৎসব-ঈদ-চাঁদ, – ওরে উপবাসী ডাক তাঁরে ডাক, তাঁর নাম লয়ে কাঁদ। আমি নয় ওরে আমি নয় – ‘তিনি’ যদি চান ওরে তবে সূর্য উঠিবে, আমার সহিত সবার প্রভাত হবে।” রমযান মাস মুশলিমদের একটি ধর্মীয় পবিত্র মাস। কিন্তু আপামর জনসাধারণের মনে এই পবিত্র মাসটি সম্পর্কে রয়েছে নানান কৌতুহল। এটি মুশলিমদের ধর্মীয় আচার হলেও এর বিশ্বজনীন তাৎপর্য অসীম।  -----‘মাহে রমযানে’র অর্থ কি? ‘মাহে রমযান' অর্থ রমযানের মাস। 'রমযান' শব্দটি আরবি 'রময' শব্দ থেকে এসেছে। 'রময' অর্থ দহন বা পোড়ানো। রমযান মাসে মাসে রোজা পালন করলে মানুষের মধ্য থেকে লোভ, লালসা, পাপ, হিংসা ও বিদ্বেশ দূর হয়। রোজা পালনকারী রমযানে তার সব পাপ মুছে ফেলার পবিত্র সুযোগ লাভ করেন। রমযান মাসে পালিত ইসলামিক উপবাসকে ...
Read more

250 YEARS OLD BEGUNBARI KALI PUJA, PANSKURA, WB, INDIA

Image
------250 YEARS OLD BEGUNBARI KALI PUJA, PANSKURA, WB------ Rupesh Samanta/ 16.05.2018 Rattanti Kali Puja of Tintauri Begunbari is about 250 years old. Tintauri Begunbari is in the south side of Panskura and Kshirai station. Begunbari Kali is worshiped every year on the Bengali month ‘Jaistha’. Thousands of pilgrims gather from different parts of West Bengal. They offer sacrifices for fulfilling their desires. Thousands of goats are sacrificed. It is said that there were two brothers, Hinu and Dinu. They were of a poor family. During that time, there happened cholera diseases. Hinu and Dinu were also affected by the disease. There was no treatment at that time. They prayed to the Mother that if the disease got healed, they would worship the Mother. After that, two brothers became cured. But there was no affordability to pay for worship. Then they did the job of robbing. In this way they saved ‘Manat’. Because of this, there are formal robbery practices now also before th...
Read more

----- HISTORY OF PANSKURA [WB, INDIA] [PART-1] -----

Image
 ----- HISTORY OF PANSKURA [WB, INDIA] [PART-1] ----- Rupesh Samantha        Netaji Subhas Chandra Bose came to Panskura in 1938. No, there is nothing to be surprised. He came to Panskura. The holy land of Panskura is carrying the history of his footprint. I’ll try my best to find out the various history of the two blocks of Panskura from the past. ----- History of Panskura’s Name ----- History researchers have different opinions about the name and history of Panskura. These are very interesting. 1. According to the references, there was no village named Panskura in the past. Kasijora Pargana was developed on two banks of the Kansabati River. The Kasijora Pargana is today's Panskura. This Kasijora name comes from the name of ‘Jora Cossai’. In 18th Century, a branch of Kansai River flew over the villages of Gar-purosottampur, Pratappur, and Raghunathbari etc. and submerged in the River Rupnarayan.   Still, the location of this...
Read more