Tuesday, 31 August 2021

অপমানের জবাব দিতেই রাতারাতি তৈরি পাঁশকুড়ার প্রথম ছাপাখানা- History of Panskura

 

অপমানের জবাব দিতেই রাতারাতি তৈরি পাঁশকুড়ার প্রথম ছাপাখানা

©রূপেশ সামন্ত


পুস্তকঃ পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিবর্তন”, লেখকঃ © রূপেশ সামন্ত

পাঁশকুড়ার এক ও অদ্বিতীয় ছাপাখানা ছিল সেটি। তৈরি হয়েছিল রাতারাতি। এক রজনীতে তৈরি হয়েছিল বলে নাম হয়েছিল ‘রজনী প্রেস’। পাঁশকুড়া স্টেশন বাজারের খিরিশতলার কাছে সেই প্রেসের পরিচিতির বিস্তার হলেও তার সৃষ্টি কিন্তু রাধাবল্লভচক গ্রামে। সেই ছাপাখানার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী রাখালচন্দ্র নায়ক। তিনি আগস্ট আন্দোলনকে সামনে রেখে রাসগাছতলায় যখন জমায়েত ও সভা করেছিলেন, তখন ব্রিটিশ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন বিচারে এক বছরের কারাদণ্ড হয়। এছাড়াও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন চলাকালে কংগ্রেস পরিচালিত ‘বেঙ্গল ভলিউন্টারি’র সদস্য হিসাবে বাংলাদেশের ঢাকায় ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়েছিলেন। গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছিলেন। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৫২ সাল নাগাদ পাঁশকুড়া-১ ব্লকের রাধাবল্লভচক গ্রামের নিজের বাড়িতেই গড়েছিলেন ‘রজনী প্রেস’। পশ্চাতে রয়েছে এক রজনীতে ছাপাখানা তৈরির উপাখ্যানও।

     তৎকালীন সময়ে প্রেস বা ছাপাখানার কাজ হত মূলত তমলুকে। উল্লেখ্য, রাখালবাবু কলকাতায় কিছুদিন প্রেসের কর্মী হিসাবেও কাজ করেছেন। তিনি একদিন একটি বিল-বই ছাপানোর প্রয়োজনে তমলুকের একটি প্রেসে গিয়েছিলেন। সেখানে চারটাকা মূল্যের ছাপা-কাজের জন্য দশটাকা চেয়েছিল। রাখালবাবু প্রতিবাদ করায় তাঁকে প্রচুর অপমান করা হয়। সেই অপমানের জবাব দিতেই সেই রাতেই বাড়িতে গড়েছিলেন হস্তচালিত ছাপাখানা। এক রাতে বা এক রজনীতে তৈরি হওয়া প্রেসের নাম দিলেন ‘রজনী প্রেস’। স্বল্প খরচে গুনমান সম্পন্ন ছাপার কাজ হওয়ায় প্রেসটির ব্যবসায়িক সাফল্য চূড়ান্ত ছিল। উল্লেখ্য, যতদূর জানা যায়, ‘রজনী প্রেস’ হল ব্যবসায়িক ভিত্তিতে তৈরি পাঁশকুড়ার প্রথম প্রেস। পরবর্তীকালে প্রেসটি হস্তান্তরিত হয়ে পারিবারিক অন্য সদস্যের হাত ধরে পাঁশকুড়ার খিরিশতলায় স্থানান্তরিত হয়। সেই প্রেসের অস্তিত্ব আজ আর নেই।

     ইতিপূর্বে পরাধীন ভারতে বিংশ শতকের তিরিশ-চল্লিশের দশকে পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দ্বারা এখানকার দু’টি গ্রামে বুলেটিন ছাপার কাজ হত। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসার করতে সংবাদ বুলেটিন প্রকাশ অত্যন্ত গূরুত্বপূর্ণ ছিল। এক্ষেত্রে পাঁশকুড়ার জোড়াপুকুর ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকারীদের অন্যতম ঘাঁটি। জোড়াপুকুরে শ্যামাদাস ভট্টাচার্যের বাড়িতে গোপনে সাইক্লোস্টাইল যন্ত্রে বুলেটিন ছাপা হত। পাঁশকুড়ার বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ইন্দুমতি ভট্টাচার্যের পুত্র কালিদাস ভট্টাচার্য জোড়াপুকুরের বাড়িতে অনেক দিন বুলেটিন ছাপার কাজ করেছেন। পাঁশকুড়ার প্রত্যন্ত কালিদান গ্রামেও সাইক্লোস্টাইলে বুলেটিন ছাপার কাজ হয়েছে। ব্রিটিশ পুলিশের চোখে ধূলো দিতে সাইক্লোস্টাইল যন্ত্র এক বাড়িতে বেশিদিন রাখা হত না। এইসব গোপন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ইন্দুমতি ভট্টাচার্যের বাড়িতে পুলিশি অভিযানও হয়েছে। ‘স্মৃতিকনা’য় ইন্দুমতি দেবী তেমনই এক পুলিশি অভিযানের কথা লিখেছেন, ‘হঠাৎ দেখি অনেক লাল-পাগড়ি পরা পুলিশভর্তি একটা মোটর গাড়ি রাস্তায় থামল। ... ... ...

 

(আরও জানতে উৎসাহী পাঠকেরা নিম্নলিখিত পুস্তকটি অনুসরণ করতে পারেন। কেউ কপি-পেস্ট করবেন না। ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন।)

পুস্তকঃ পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিবর্তন

লেখকঃ © রূপেশ সামন্ত

প্রাপ্তিস্থান- দীপিকা বুক স্টল, পাঁশকুড়া স্টেশন।

For Online Booking, Whatsapp- 9153099507

Monday, 16 August 2021

পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিবর্তন

https://public.app/video/sp_rr1u32ss1syxe https://public.app/video/sp_rr1u32ss1syxe

পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিবর্তন Freedom Movement of Panskura and Its Political Evolution



 https://www.unfoldbangla.com/finally-the-history-of-the-independence-movement-of-panskura-was-published/article/

পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিবর্তন Freedom Movement of Panskura and Its Political Evolution

 

পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিবর্তন Freedom Movement of Panskura and Its Political Evolution

 

https://www.deshmanus.com/2021/08/%20Published-Panskura-Freedom-Movement-History.html








পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিবর্তন Freedom Movement of Panskura and Its Political Evolution

 

https://l.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Ffb.watch%2F7q7_Py3se_%2F%3Ffbclid%3DIwAR0qUop2fHjmd58A0hLPCRHBcrmfwz66v1D7l7vNJfq6MpfiaUDvK5vbQjc&h=AT29IW1z9UQu_Kn1VwkJI_9yaK6eM31ojDPWkri4elWYjXrs5mtSEU2iKL9XRw0rY1vnMGoK0kH1wmpY6vbPOubgcBfw1MqQF0da3c8ZClSvlbZA0IH43zevhKN_eDjO9N8&__tn__=-UK-R&c[0]=AT11YIqcI6Hk4LXEIMj7QbjzzJaC6M4lOROG3HouqRGp_VCEWUu61UMI8n4E3F-MNi_Lrsl05BdeDCvjyRjCWFUSl6MnrK9Gf4Zwcq6NluTBLPobZS8xPYSrGksr7c_FycQWOhi5WubYalYpdYzP5dYgX_hiclhW78IEDQzGKlajdBXqlGnD8WFE8lzTs2ny8kn5deegdZTSUWDpDxBRcio5XlRs92FOUN75qA

Tuesday, 10 August 2021

Freedom Movement of Panskura and Its Evolution


 পাঁশকুড়ায় আগস্ট আন্দোলন (স্বাধীনতার পঁচাত্তরে- পর্ব ১)

১৯৪২ সালের ৯ আগষ্ট কংগ্রেসের তরফে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। গান্ধিজী ডাক দিলেন, ‘Do or Die’। মেদিনীপুর জেলায় এই আগস্ট আন্দোলন বা ভারত ছাড়ো আন্দোলন এক গনবিদ্রোহের চেহারা নেয়। কংগ্রেস বে-আইনী ঘোষিত থাকায় নিষিদ্ধ হয় সভা, সমিতি ও শোভাযাত্রা। প্রায় সমস্ত প্রথম সারির নেতারা গ্রেপ্তার হয়ে যায়। ফলে গোটা দেশের সঙ্গে পাঁশকুড়াতেও এই আন্দোলন ধাক্কা খায়। নেতৃবর্গ কারাগারের অন্তরালে থাকায় বা নেতৃত্বের অভাবে পাঁশকুড়ায় এই আন্দোলন স্বাভাবিক গতি লাভ করতে পারেনি। ১৯৪২ সালে গ্রেপ্তার হয়ে যান পাঁশকুড়ার চৈতন্যপুর-১ অঞ্চলের কালই গ্রামের ‘সন্ন্যাসী পুরুষ’ রজনীকান্ত প্রামানিক। জেলে বন্দী থাকেন ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত। জোড়াপুকুরের মহীয়সী নারী ইন্দুমতি ভট্টাচার্য বা তাঁর ছেলে শ্যামাদাস ভট্টাচার্যের মতো নেতৃত্ব শারীরিক ও ব্যক্তিগত কারনে এই আন্দোলন থেকে বিরত থেকে ছিলেন। কোলাঘাটের রাধাগোবিন্দ চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী বিভারাণী চক্রবর্তী আগস্ট আন্দোলনে যোগদান করে প্রচুর অত্যচার ও নির্যাতনের শিকার হন। কোলাঘাটে গোবিন্দ চক্রবর্তীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি কলকাতায় আত্মগোপন করেন। কিন্তু তিনি গ্রেপ্তার হয়ে যান। রাধাবল্লভচক গ্রামের রাখালচন্দ্র নায়ক রাসগাছতলায় আগস্ট আন্দোলনকে সামনে রেখে জমায়েত ও সভা করেছিলেন। সভা চলাকালীন সময়ে রাখালচন্দ্র নায়কও গ্রেপ্তার হয়ে যান। বিচারে এক বছরের কারাদণ্ড হয়। উল্লেখযোগ্য নেতৃত্বের অংশগ্রহন না থাকলেও পাঁশকুড়ায় আগস্ট আন্দোলন থেমে থাকেনি। সেই আন্দোলনের স্বাভাবিক গতি বজায় না থাকলেও ১৯৪২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাঁশকুড়ায় রাস্তা অবরোধের দুর্ধর্ষ রাত ও ২৯ সেপ্টেম্বর পাঁশকুড়া থানা অভিযানের রোমহর্ষক কর্মসূচি ‘তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার’ প্রতিষ্ঠায় গূরুত্বপূর্ণ মাইলষ্টোন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ২৮ সেপ্টেম্বরের রাত্রে পাঁশকুড়ায় উড়িয়ে দেওয়া হয় কালভার্ট, কেটে দেওয়া হয় রাস্তা, উপড়ে ফেলা হয় টেলিগ্রাফ পোস্ট। .... ... (ক্রমশ...)


[আসছে ...// ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ ও বিশ্লেষন সমন্বিত বইঃ “পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিবর্তন” © রূপেশ সামন্ত // প্রকাশিত হবেঃ ১৫ আগস্ট, ২০২১]

Freedom Movement of Panskura and Its Evolution


পাঁশকুড়ায় বিপ্লবীদের গোপন ছাপাখানা (স্বাধীনতার পঁচাত্তরে- ২)
পুস্তকঃ “পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিবর্তন”
লেখকঃ © রূপেশ সামন্ত
      ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে অসহযোগ আন্দোলনের পরে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম অহিংস গন-আন্দোলন হল আইন অমান্য আন্দোলন। ১৯৩০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে গান্ধীজী ‘ইয়ং ইণ্ডিয়া’ পত্রিকায় আইন অমান্য আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষনা করেন। সারা ভারত বর্ষের সঙ্গে আইন অমান্য আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে পাঁশকুড়ায়। যে কোন আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনায় বিপ্লবীদের মধ্যে সংবাদ আদান-প্রদান এবং সাধারন জনগনকে সংগ্রামী-বার্তা পৌঁছে দেওয়া একটি গূরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে প্রসারিত ও প্রজ্জ্বলিত করতে সংবাদ বুলেটিন প্রকাশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য, পাঁশকুড়ার জোড়াপুকুর ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকারীদের অন্যতম ঘাঁটি। এই জোড়াপুকুরে কাটিয়ে গেছেন বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো। এই জোড়াপুকুরেই বসবাস করতেন পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের চিরস্মরণীয় মহীয়সী নারী ইন্দুমতি ভট্টাচার্য। একই বাড়িতে থাকতেন দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী ছেলে শ্যামাদাস ভট্টাচার্য ও কালিদাস ভট্টাচার্য। ইন্দুমতি দেবীর স্বামী সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যও স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। জোড়াপুকুরের ভট্টাচার্য পরিবারকে কেন্দ্র করেই তৎকালীন সময়ে পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন বিকশিত হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই বার্তা প্রচারের উদ্দেশ্যে ইন্দুমতি ভট্টাচার্যের বাড়িতে গোপনে সংবাদ বুলেটিন ছাপা হত। বুলেটিনে আন্দোলন-কর্মসূচির কথা থাকতো। তৎকালীন সময়ে সাইক্লোস্টাইল নামক যন্ত্রে ছাপানোর কাজ হত। ইন্দুমতি দেবীর ছেলে কালিদাস ভট্টাচার্য অনেক দিন সেই বুলেটিন ছাপার কাজ করেছেন। ব্রিটিশ পুলিশকে লুকিয়ে বুলেটিন ছাপতে হত, মানুষের কাছে পৌঁছাতে হত বা পড়তে হত। ব্রিটিশ পুলিশের চোখে ধূলো দিতে সাইক্লোস্টাইল যন্ত্র এক বাড়িতে বেশিদিন রাখা হত না। এইসব গোপন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ভট্টাচার্য পরিবারে পুলিশি অভিযানও হয়েছে। একদিন লাল-পাগড়ি পরা পুলিশভর্তি একটা মোটর গাড়ি ইন্দুমতি দেবীর বাড়ির সামনে রাস্তায় থামল। ... ... (পরবর্তী অংশের জন্য উৎসাহী পাঠকেরা নিম্নলিখিত পুস্তকটি অনুসরণ করতে পারেন।)

পুস্তকঃ “পাঁশকুড়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনৈতিক বিবর্তন” 
লেখকঃ © রূপেশ সামন্ত
প্রকাশিত হবেঃ আগামী ১৫ আগস্ট, ২০২১

পর্ব-১ লিংকঃ https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=225030076294246&id=100063617654951&notif_id=1628495142375246&notif_t=feedback_reaction_generic&ref=notif

জীবনের ভুল — সত্যিই ভুল?

  জীবনের ভুল — সত্যিই ভুল? জীবন এক অমোঘ প্রবাহ—সময়ের স্রোতে আমাদের চিন্তা, অনুভব ও সিদ্ধান্ত সবই পরিবর্তিত হয়। আজ যা ভুল মনে হয়, কাল তা সঠি...