কাঁচা আম আর সরষে বাটা দিয়ে মৌরলা মাছের টক

------ ---- --- -- কাঁচা আম আর সরষে বাটা দিয়ে মৌরলা মাছের টক-- --- ---- -----

@ শ্রী রূপেশ কুমার সামন্ত/

সরষে বাটা আমের টক

রান্নাটা হোক ঝটাপট।

ভাত উঠবে তাড়াতাড়ি

টকের বাটি কাড়াকাড়ি।

থাকুক না যতোই ক্লেশ

নিমেশেই হবে সব ফ্রেশ।

আমের টক, আমের ডাল, আমের আচার, আমের চাটনি, আমের কাসুন্দি, আমের মোরব্বা, আমের সত্ত! আরও কত কিছু! আম নিয়ে আমোদিত হওয়া বাঙালির মজ্জাগত। যাক গে! আজ আম নিয়ে একটু রান্না ঘরে ঢোকা যাক! সঙ্গে টাটকা মৌরলা মাছ আর একটু কাটা ফ্রেশ সব্জি।

-----রান্নার প্রনালী-----

টাটকা পরিস্কার করা মৌরলা মাছ কিছুক্ষন নুন ও হলুদ মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। কিছুটা টাটকা সব্জি যেমন ঢেঁড়শ, চিচিঙ্গা ইত্যাদি টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। আমের কুচি এবং সরষে আলাদা আলাদা বেটে নিতে হবে। দু’একটা কাঁচা লঙ্কা লাগবে। অল্প আঁচে হাল্কা করে মাছ ও সব্জি গুলো ভেজে নিতে হবে। এরপর কড়াই এর মধ্যে তেল গরম করে গোটা সরষের ফোড়ন দিতে হবে। এর সঙ্গে সরষে বাটা ও আমের বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। তাতে পরিমান মতো লবন, হলুদ, চেরা কাঁচা লঙ্কা দিতে হবে। এরপর ভাজা মাছ ও ভাজা সব্জি গুলো দিয়ে কিছুক্ষন ফোটাতে হবে। মিশ্রনটি গাঢ় হলে নামিয়ে নিতে হবে। দেখতে হবে টক-ঝাল-নোন্তা যেন স্বাদমতো হয়। গ্রীষ্মের দুপুরে গরম ভাতে ‘সরষে বাটা দিয়ে মৌরলা মাছের আম টক’ পরিবেশন করতে হবে। বাকিটা ……

-----উপকারিতা-----

কাঁচা আম যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অনেক ক্ষেত্রে পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমের গুণ আরও বেশি। কাঁচা আমের গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে সত্যিই অবাক হতে হয়।

1.      কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্ত সল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী।

2.      ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় গরমে ঠাণ্ডা জতীয় রোগ প্রতিরোধ করে।

3.      ক্যারোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ কাঁচা আম চোখ ভালো রাখে।

4.      বিটা ক্যারোটিন থাকায় হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

5.      কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ সাহায্য করে।

6.      আমাদের শরীরের রক্ত পরিস্কার রাখে।

7.      আম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

8.      পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে।

9.      লিভার ভালো রাখে।

10. অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে।

11. ত্বক উজ্জ্বল করে।

12. দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করে।

13. নিঃশ্বাসের সমস্যা, জ্বরের সমস্যা উপশম করে।

14. ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।

15. এছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

-শ্রী রূপেশ কুমার সামন্ত/ ৩০.০৩.১৮