Friday, 29 May 2020

বয়স ১১০০ বছর, ভিয়েতনামে মন্দিরের ভগ্নাবশেষ থেকে উদ্ধার প্রাচীন শিবলিঙ্গ- Ananda Bazar Patrika

https://www.anandabazar.com/photogallery/international/9th-century-shiva-linga-in-vietnam-temple-unearthed-by-asi-dgtl-1.1155706?utm_source=facebook&utm_medium=social&utm_campaign=daily&fbclid=IwAR0CvddAegPblJWJ2vQf0ozf9l74ArPUNNnUoU8W_RxsHDCwUv1-qen1bNw&slide=1


  • ৯ মে ২০২০
  • ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, শুক্রবার
  • ই-পেপার

বয়স ১১০০ বছর, ভিয়েতনামে মন্দিরের ভগ্নাবশেষ থেকে উদ্ধার প্রাচীন শিবলিঙ্গ







নবম শতকের শিবলিঙ্গ। খোঁজ মিলল ভিয়েতনামে, প্রাচীন মাই সন বা মি সেন মন্দির চত্বরের ভগ্নাবশেষে। ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বা এএসআই-এর খননে পাওয়া গিয়েছে পুরানিদর্শনটি।ভিয়েতনামের কুয়াং নাম প্রদেশের প্রাচীন এই মন্দির চত্বরে গত কয়েক দিন ধরেই সংস্কারপর্ব চলছে। সে সময়েই পাওয়া গিয়েছে ১১০০ বছরের প্রাচীন শিবলিঙ্গটি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন এই খবর। মি সেন হল প্রাচীন হিন্দু মন্দির প্রাঙ্গণ। সেখানে কিছু মন্দির গুচ্ছকে একসঙ্গে বলা হয় ‘চাম মন্দির’। এই ‘চাম’ এসেছে ‘চম্পা’ থেকে। প্রাচীনকালে চম্পা-ই নাম ছিল মধ্য ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের। 
দীর্ঘদিন বৃহত্তর ভারতবর্ষের প্রভাব পড়েছিল এই ভূখণ্ডে। পল্লব, চোল-সহ দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যের শাসকরা ছিলেন নৌবিদ্যায় পারদর্শী। তাঁরা দীর্ঘদিন শাসন করেছেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বহু ভূভাগ। চম্পা-ও সেগুলির মধ্যে অন্যতম। চতুর্থ থেকে চতুর্দশ শতক অবধি চম্পা ছিল দক্ষিণ ভারতীয় রাজাদের শাসনে। সে সময়ে এখানে বহু মন্দির তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে বেশির ভাগ মন্দিরেই উপাস্য ছিলেন মহাদেব বা শিব। তাঁকে এখানে অনেক নামে উপাসনা করা হয়। তবে সবথেকে প্রচলিত হল ‘ভদ্রেশ্বর’। ইন্দোনেশিয়ার বরবুদুর স্তূপ এবং কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট মন্দিরের সঙ্গে তুলনা করা হয় মি সেন মন্দিরগুচ্ছকেও। ইউনেস্কোর তরফে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে মি সেন বা মাই সনের ঐতিহাসিক ক্ষেত্রকে। রাজা দ্বিতীয় ইন্দ্রবর্মনের শাসনকালকে বলা হয় চম্পা সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ। অধিকাংশ মন্দিরই সে সময়ে তৈরি হয়েছিল। এর আগেও ছ’টি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছিল মি সেনের চাম মন্দিরগুলি থেকে। আরও অনেক ঐতিহাসিক ক্ষেত্রের মতো এই মন্দির গুচ্ছও কালের স্রোতে চলে গিয়েছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে। বিংশ শতকের গোড়ায় আবার এর অস্তিত্বের কথা সামনে আসে ফরাসি অভিযাত্রী ও ইতিহাসবিদদের দৌলতে।সে সময়ে তাঁরা এই মন্দির প্রাঙ্গণে বহু শিবলিঙ্গের অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন। সেই ভাস্কর্যগুলিই ধীরে ধীরে এত বছর ধরে প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে। তবে যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক জটিলতায় বিলম্ব ঘটেছে উদ্ধারকাজে। আমেরিকার সঙ্গে ভিয়েতনামের যুদ্ধেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই ঐতিহাসিক কীর্তি।বিদেশমন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তার অধীনে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির চিহ্নকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।সেই উদ্যোগর অংশ-ই এই আবিষ্কার। এর ফলে ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রাচীন যুগে সম্পর্ক কেমন ছিল, ইতিহাসের সেই অধ্যায়ের উপর নতুন করে আলো পড়ল বলে ধারণা ইতিহাসবিদদের।

Monday, 11 May 2020

বন্ধ হল বেগুনবাড়ির ফলহারিণী কালী পূজা -ভাস্করব্রত পতি



করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ হল বেগুনবাড়ির ফলহারিণী কালী পূজা

https://jugasankha.in/to-prevent-corona-infection-kali-puja-the-fruit-gardener-of-begunbari-was-stopped/


ভাস্করব্রত পতি, তমলুক : একসময় ‘কলেরা’ রোগের হাত থেকে বেঁচে উঠতে যে পূজোর সূচনা হয়েছিল, সেই পূজো আজ বন্ধ হল ‘কোরোনা’ রোগের হাত থেকে বাঁচতে। এই প্রথম তিনতাউড়ি বেগুনবাড়ির ফলহারিণী কালিপূজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চলতি বছরের জন্য। আগামী ২১ শে মে অমাবস্যার তিথিতে জেলার অন্যতম প্রাচীন এই পূজা বন্ধ করে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে পূজা কমিটি। প্রশাসন থেকেও অনুমতি মেলেনি। স্বাভাবিকভাবেই এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্থানীয় লোকজন।
মূলত, বাগদী সম্প্রদায়ের মানুষজনের পূজিতা দেবী হলেও আপামর জনসাধারণের কাছে ঘরের দেবী হয়ে উঠেছেন। যেহেতু এবছর কোভিড ১৯ এর বাড়বাড়ন্তের জন্য অত্যধিক জনসমাগম ঠেকাতে পূজা কমিটি বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারিং করে জানিয়ে দিয়েছে পূজা বন্ধের ঘোষণা। ফলে এবছর দেবীর সামনে মানত করা পাঁঠাবলিও বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র ঘটস্থাপন করেই পূজার রীতি বজায় করা থাকবে। প্রতিমা তৈরি করে পূজা হবেনা। সাধারণত মশালের আলোয় ঘটোদক হোতো এখানে। এবার সব বন্ধ।
ক্ষীরাই নদীর মধ্যে বেগুনবাড়ি গ্রামে শতাব্দী প্রাচীন এই পূজা চলে আসছে বহুদিন ধরে। শিক্ষক তথা আঞ্চলিক গবেষক রূপেশ সামন্তর কথায়, এই মেলা ২৫০ বছরের পুরনো। গবেষক সুধাংশুশেখর ভট্টাচার্যও সমর্থন করেছেন মেলার বয়স নিয়ে। তবে এখন নতুন রূপে নতুন মন্দিরে পূজিত হচ্ছেন ফলহারিণী কালী। দক্ষিনেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে নতুন মন্দির। জনগনের দেওয়া আর্থিক সহায়তায় এটি নির্মিত। এটি জেলার অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন।
জনশ্রুতি রয়েছে এই এলাকা কাশীজোড়া রাজবংশের অধীনস্থ ছিলো। তখনকার রাজা রাজনারায়ণ রায়ের ( ১৭৫৬-১৭৭০) রাজত্বকালে দুজন লেঠেল ছিলো। কেউ বলেন , তাঁরা ডাকাত। এঁরা বাগদী বা জেলে সম্প্রদায়ের লোক। সেসময় এলাকায় ব্যাপক ওলাউঠা তথা কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়ায়। কিন্তু এই দুই ডাকাত মা কালীর কাছে মানত করে যে, সকলে সুস্থ হয়ে উঠলে ঘটা করে মা কালীর পূজা করবে। অবশেষে এলাকা রোগমুক্ত হতে ঐ দুই ডাকাত ডাকাতি করে মায়ের পূজার্চনা শুরু করে। সেই শুরু। এরপর প্রতিবছর জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যার দিন তাঁরা ডাকাতি করে পূজা চালিয়ে যায়। যা আজও চলছে।
পরবর্তীতে কাশীজোড়ার রাজা জমিদান করেন মন্দিরের জন্য। সেটি ছিল শ্মশান এবং বেগুনখেতের পাশে। সেই থেকে নাম হয়ে যায় বেগুনবাড়ির কালী। যদিও এখন সরাইঘাট, পাওবাঁকি এবং বেগুনবাড়ি- এই তিন গ্রামের লোকজন মেলা পরিচালনা করেন। প্রায় একমাস ধরে চলে এই মেলা। গ্রামীন মেলার যাবতীয় চরিত্র ধরে রেখেছে এই মেলা। বিভিন্ন লৌকিক বাদ্যযন্ত্র, খেজুর পাতার টুপি, একতারা, ঢোল, মাদুর, ঝুড়ি, লোহার সামগ্রী সহ জিলিপি, মিস্টি, পেটাই পরোটা এখানে মেলে মেলার দিনগুলোতে।
সন্তানের জন্য যাঁরা মানত করেন তাঁরা অভীষ্ট পূরণ হলে মাটির মূর্তি দিয়ে যায় দেবীর কাছে। তাছাড়া বাতাসার মালা, টাকার মালা দেওয়ার রীতি রয়েছে। পার্শবর্তী হাডডাঙার শিকার উৎসবের চল শুরু হয়েছিল এই ফলহারিণী কালীপূজাকে সামনে রেখেই। যদিও পরিবেশপ্রেমীদের আন্দোলনের জন্য গত কয়েক বছর যাবৎ এই শিকার উৎসব বন্ধ।

Thursday, 7 May 2020

পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাটা ডেকে আনবে আরও বড় আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়

সমস্ত পরিযায়ী প্রান্তিক শ্রমিকদের ঘরে ফেরাটা ডেকে আনবে আরও বড় আর্থিক বিপর্যয়ঃঃ
লেখক- রূপেশ সামন্ত


প্রশ্ন-১/ পরিযায়ী প্রান্তিক শ্রেণির শ্রমিক ফিরছে কেন?
উত্তরঃ তারা কর্মস্থলে খাবার পাচ্ছে না। কাজ নেই। তাই ফিরছে।

প্রশ্ন-২/ তারা বাড়ি ফিরে খাবার পাবে?
উত্তরঃ কোন নিশ্চয়তা নেই। প্রান্তিক শ্রেণির শ্রমিকরা অধিকাংশই ভূমিহীন ও প্রায় গৃহহীন। কেউ বলতে পারেন রেশন ব্যবস্থা আছে। রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমেই খাবার পাবে।

প্রশ্ন-৩/ রেশন ব্যবস্থা কর্মস্থলে নয় কেন?
উত্তরঃ প্রশ্ন সেটাই। রেশন ব্যবস্থা সাময়িক ভাবে কর্মস্থলেই করা যেত।

প্রশ্ন-৪/ খাবার নিশ্চয়তা তাহলে কোথায়?
উত্তরঃ লক-ডাউন পিরিয়ডে স্বনির্ভর খাবারের ব্যবস্থা রেশনিং ছাড়া কোথাওই নেই। কর্মস্থলেও নেই। বাড়িতে ফিরেও নেই। বাড়িতে খাবারের সংস্থান ছিলনা বলেই দূরদেশে পাড়ি দিয়ে কাজ জুটিয়েছিল শ্রমিকরা।

প্রশ্ন-৫/ শ্রমিকরা বাড়ি ফেরায় কর্মস্থলে কি সমস্যা হবে?
উত্তরঃ পরে ফিরে গিয়ে আবার কাজ জোটানো কঠিন হবে। সেখানকার কাজের শৃঙ্খলটাই পরিবর্তণ হয়ে যাবে ততদিনে। সামগ্রিক ভাবে পুরো এলাকার আর্থ-সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। একটি ছোট এলাকায় বহু কর্মপ্রার্থীর প্রবল চাপ তৈরি হবে। সৃষ্টি হবে আর্থিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা।

প্রশ্ন-৬/ শ্রমিকরা বাড়ি ফেরায় বাড়ি-এলাকায় কি সমস্যা হবে?
উত্তরঃ শমিকদের বাড়ি এলাকায় একটি প্রবহমান কাজের শৃঙ্খল রয়েছে। সেই শৃঙ্খল ভেঙে কাজে যোগ দেওয়া খুব কঠিন।

প্রশ্ন-৭/ শ্রমিকরা কর্মস্থলে থেকে কি করতে পারতেন?
উত্তরঃ সাময়িক ভাবে রেশনের দাবি জানাতে পারতো। আর কর্মস্থলে আগের কাজ ফিরে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারতেন বা  সেখানেই সম্পৃক্ত থেকে চালিয়ে যেতে পারতেন। সেটা শ্রমিকরাই সবচেয়ে ভালো বোঝেন, কি করা উচিৎ।

প্রশ্ন-৮/ শ্রমিকরা বাড়ি ফেরায় দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব কি?
উত্তরঃ গোটা দেশেই ভেঙে পড়বে আর্থ-সামাজিক ভারসাম্য। লক-ডাউন কবে উঠবে ঠিক নেই। কবে আর্থিক স্থিতিশীলতা আসবে ঠিক নেই। বেশিরভাব শ্রমিকের সামান্য জমিটুকুও নেই। কাজ ও খাদ্যের জন্য লড়াই শুরু হয়ে যাবে। আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে। অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে।
ধরুন, একটি গ্রামে ১০০০ মানুষ বাস করেন। সেখানে আরও ১০০ মানুষ ঢুকলে সেই গ্রামের আর্থ-সামাজিক বর্তমান পরিকাঠামো কি পারবে সেই চাপ নিতে? কাজ ও খাদ্যের যোগান কি ভাবে হবে? ঐ শ্রমিকরা যদি আর আগের কর্মস্থলে ফিরতে না পারে, তাহলে কি হবে?

প্রশ্ন-৯ঃ শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা নিয়ে রাজনীতি কেমন হচ্ছে?
উত্তরঃ পুরোটাই রাজনীতি হচ্ছে। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলই শ্রমিক দরদী সাজার চেষ্টা করছে। সমস্যার গোড়ার কথা কেউ বলছে না। সবাই সাময়িক উপশমের কথা বলছে। ফলে আগামী দিনে বড় আর্থ-সামাজিক বিপর্যয় আসতে চলেছে।

প্রশ্ন-৯/ তাহলে উপায় কি?
উত্তরঃ পারিবারিক ও চিকিৎসা জনিত প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতে ফিরে আদপে লাভ কিছুই নেই। কোন সুরাহা হবে। আদপে সেই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোয় ব্যাপক চাপ তৈরি হবে। বরং স্বস্থানে থেকেই লড়াই করাটা অনেক যুক্তিযুক্ত। সবাই নিজের নিজের স্থানে থাকলেই আগামী দিনের কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলানো অনেক সহজ হবে। অসংগঠিত শ্রমিকদের ছোট ছোট সংগঠিত রূপ দিতে হবে। তাদের সাথেই আলোচনার মাধ্যমে তাদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী করোনা কেন্দ্রিক সমস্ত সুরক্ষা বিধি মেনে নিত্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে। সেই সঙ্গে পূর্বের কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখাটাও জরুরী। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে রেশনিং এর ব্যবস্থাও করতে হবে। এই সমস্ত কাজর পরিচালনা স্থানীয় প্রশাসন দ্বারা করতে হবে।

[কপিরাইট- লেখক কর্তৃক সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই প্রবন্ধের আংশিক বা সম্পূর্ণ কপি করা বেয়াইনি।]





Saturday, 2 May 2020

Activity Task, Class- V









মাত্র ৪০ পয়সার ওষুধেই কি করোনা মুক্তি? আশার আলো Antacid and Covid 19


নিউইয়র্কের ১৮৭ জন করোনভাইরাস রোগীর উপর পরীক্ষা করার পরে বিজ্ঞানীরা একটি সম্ভাব্য নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিস্কার করেছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ফ্যামোটিডিন নামক এন্টাসিড ব্যবহার করছেন। ওষুধটি বহুল ব্যবহৃত এন্টাসিড। দাম মাত্র ৪০ পয়সা। কোভিড -১৯ এর সম্ভাব্য নতুন চিকিৎসা হিসাবে আগামী দিনে এই ওষুধ যুগান্তকারী হতে চলেছে বলে ডাক্তারদের একাংশের অভিমত। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে এই ওষুধ মজুতের নির্দেশ দিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে, নিউইয়র্কের নর্থ ওয়েল হাসপাতালের করোনভাইরাস-পজিটিভ রোগীদের ফামোটিডিন দেওয়া হয়। ওষুধটি প্রথম পরীক্ষা মূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল চীনের উহান শহরে, যেখানে করোনাভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল। সেখানে, এই ওষুধ প্রয়োগে রুগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। প্রতিবেদন অনুসারে, নর্থওয়েল হাস্পাতালের ১৮৭ জন রোগীকে ফ্যামোটিডিন দেওয়া হয়। ডোজ ছিল বাজারে প্রাপ্ত ওষুধের নয় গুন। ফলাফলের রিপোর্ট এখনও অপ্রকাশিত রেখেছেন। রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশিত হবে। আশায় গোটা বিশ্ব।

জীবনের ভুল — সত্যিই ভুল?

  জীবনের ভুল — সত্যিই ভুল? জীবন এক অমোঘ প্রবাহ—সময়ের স্রোতে আমাদের চিন্তা, অনুভব ও সিদ্ধান্ত সবই পরিবর্তিত হয়। আজ যা ভুল মনে হয়, কাল তা সঠি...