Posts

Showing posts from November, 2024

ধর্মমঙ্গল কাব্যের কিংবদন্তী লাউসেনের ময়নাগড়ের দুর্ভেদ্য পরীখা

Image
 ময়নাগড়ের দুর্ভেদ্য পরীখা রূপেশ কুমার সামন্ত আনুমানিক দশম শতাব্দীর ধর্মঙ্গল মহাকাব্যের লাউসেনের কিংবদন্তী রাজধানী হল ময়নাগড়। গৌড়েশ্বর ধর্মপালের রাজত্বকালে কর্ণসেন তাঁর অধীনে রাজত্ব করতেন। ইছাই ঘোষের সঙ্গে যুদ্ধে কর্ণসেন তাঁর ছয় পুত্রকে হারান। তাঁর স্ত্রী বিষপানে দেহত্যাগ করেন। তখন গৌড়েশ্বর ধর্মপাল নিজের শ্যালিকা রঞ্জাবতীর সঙ্গে কর্ণসেনের বিয়ে দেন। কর্ণসেনকে দক্ষিণবঙ্গের একটি বিশেষ অঞ্চল দান করেন। এটি কর্ণগড় নামে খ্যাত। এই কর্ণগড়ই পরে ময়নাগড় নামে প্রসিদ্ধ হয়। এই রঞ্জাবতীর ছেলে ছিল লাউসেন। এই লাউসেনের কিংবদন্তী রাজধানী হল ময়নাগড়। পরবর্তী কালে  বাহুবলীন্দ্র রাজারা বালিসীতাগড় থেকে নিজেদের রাজধানী ময়নাগড়ে স্থানান্তরিত করেন। কালিদহ ও মাকড়দহ নামে দুটি পরীখা দিয়ে ঘেরা এই ছোট্ট দ্বীপ ময়নাগড়। দ্বীপটি ছিল দুর্ভেদ্য দুর্গ। চারিদিকে ঘেরা ছিল পার্বত্য গুলিবাঁশের ঝাড়ের দুর্ভেদ্য প্রাকৃতিক প্রাচীর। মঞ্জুশ্রী বাহুবলীন্দ্রের 'চিকের আড়ালে' প্রবন্ধ থেকে জানা যায়, পূর্বে পরীখা দুটি কচুরীপানা ও পদ্মতে পরিপূর্ণ ছিল। কচুরিপানা এত ঘন ছিল যে তার উপর দিয়ে মানুষ বা জন্তু জানোয়ারের চলাফেরা করত...

ধর্মমঙ্গল কাব্যের কিংবদন্তী লাউসেনের ময়নাগড়ের বাঁশঝাড়ের দুর্ভেদ্য প্রাকৃতিক প্রাচীর

Image
 ময়নাগড়ের বাঁশঝাড়ের দুর্ভেদ্য প্রাকৃতিক প্রাচীর  রূপেশ কুমার সামন্ত আনুমানিক দশঅম শতাব্দীর ধর্মঙ্গল মহাকাব্যের লাউসেনের কিংবদন্তী রাজধানী হল ময়নাগড়। গৌড়েশ্বর ধর্মপালের রাজত্বকালে কর্ণসেন তাঁর অধীনে রাজত্ব করতেন। ইছাই ঘোষের সঙ্গে যুদ্ধে কর্ণসেন তাঁর ছয় পুত্রকে হারান। তাঁর স্ত্রী বিষপানে দেহত্যাগ করেন। তখন গৌড়েশ্বর ধর্মপাল নিজের শ্যালিকা রঞ্জাবতীর সঙ্গে কর্ণসেনের বিয়ে দেন। কর্ণসেনকে দক্ষিণবঙ্গের একটি বিশেষ অঞ্চল দান করেন। এটি কর্ণগড় নামে খ্যাত। এই কর্ণগড়ই পরে ময়নাগড় নামে প্রসিদ্ধ হয়। এই রঞ্জাবতীর ছেলে ছিল লাউসেন। এই লাউসেনের কিংবদন্তী রাজধানী হল ময়নাগড়। পরবর্তী কালে  বাহুবলীন্দ্র রাজারা বালিসীতাগড় থেকে নিজেদের রাজধানী ময়নাগড়ে স্থানান্তরিত করেন। কালিদহ ও মাকড়দহ নামে দুটি পরীখা দিয়ে ঘেরা এই ছোট্ট দ্বীপ ময়নাগড়। দ্বীপটি ছিল দুর্ভেদ্য দুর্গ। চারিদিকে ঘেরা ছিল কাঁটাবাঁশ ঝাড়ের দুর্ভেদ্য প্রাকৃতিক প্রাচীর। রাজা গোবর্ধনানন্দ ময়নাগড় অধিকার করে সংস্কারের কাজ করেন। তিনি পুরাতন গড় ভেঙে নতুন ও প্রসস্থ গড় নির্মান করেন। গড়ের চারিদিকে পরীখার পার্শে পার্বত্য বাঁশের ঝা...

ধর্মমঙ্গল কাব্যের কিংবদন্তী লাউসেনের ময়নাগড়ের কদমা ও থালা বাতাসা

Image
 ময়নাগড়ের কদমা ও থালা বাতাসা রূপেশ কুমার সামন্ত আনুমানিক দশম শতাব্দীর ধর্মঙ্গল মহাকাব্যের লাউসেনের কিংবদন্তী রাজধানী হল ময়নাগড়। গৌড়েশ্বর ধর্মপালের রাজত্বকালে কর্ণসেন তাঁর অধীনে রাজত্ব করতেন। ইছাই ঘোষের সঙ্গে যুদ্ধে কর্ণসেন তাঁর ছয় পুত্রকে হারান। তাঁর স্ত্রী বিষপানে দেহত্যাগ করেন। তখন গৌড়েশ্বর ধর্মপাল নিজের শ্যালিকা রঞ্জাবতীর সঙ্গে কর্ণসেনের বিয়ে দেন। কর্ণসেনকে দক্ষিণবঙ্গের একটি বিশেষ অঞ্চল দান করেন। এটি কর্ণগড় নামে খ্যাত। এই কর্ণগড়ই পরে ময়নাগড় নামে প্রসিদ্ধ হয়। এই রঞ্জাবতীর ছেলে ছিল লাউসেন। এই লাউসেনের কিংবদন্তী রাজধানী হল ময়নাগড়। পরবর্তী কালে  বাহুবলীন্দ্র রাজারা বালিসীতাগড় থেকে নিজেদের রাজধানী ময়নাগড়ে স্থানান্তরিত করেন। কালিদহ ও মাকড়দহ নামে দুটি পরীখা দিয়ে ঘেরা এই ছোট্ট দ্বীপ ময়নাগড়। দ্বীপটি ছিল দুর্ভেদ্য দুর্গ। চারিদিকে ঘেরা ছিল পার্বত্য গুলিবাঁশের ঝাড়ের দুর্ভেদ্য প্রাকৃতিক প্রাচীর। এখানে প্রতিবছর রাসপূর্ণিমায় শুরু হয় বিখ্যাত রাসমেলা। এই মেলার মুখ্য আকর্ষণ হল থালা বাতাসা ও কদমা। এই বাতাসা গুলি থালার মতো বড় বড় সাইজের হয়। আর কদমা গুলি বড় বলের ন্যায়। উপকরণ হিসাবে ল...

ধর্মমঙ্গল কাব্যের কিংবদন্তী লাউসেনের ময়নাগড়ের রাসমেলা

Image
 ময়নাগড়ের রাসমেলা রূপেশ কুমার সামন্ত আনুমানিক দশম শতাব্দীর ধর্মঙ্গল মহাকাব্যের লাউসেনের কিংবদন্তী রাজধানী হল ময়নাগড়। গৌড়েশ্বর ধর্মপালের রাজত্বকালে কর্ণসেন তাঁর অধীনে রাজত্ব করতেন। ইছাই ঘোষের সঙ্গে যুদ্ধে কর্ণসেন তাঁর ছয় পুত্রকে হারান। তাঁর স্ত্রী বিষপানে দেহত্যাগ করেন। তখন গৌড়েশ্বর ধর্মপাল নিজের শ্যালিকা রঞ্জাবতীর সঙ্গে কর্ণসেনের বিয়ে দেন। কর্ণসেনকে দক্ষিণবঙ্গের একটি বিশেষ অঞ্চল দান করেন। এটি কর্ণগড় নামে খ্যাত। এই কর্ণগড়ই পরে ময়নাগড় নামে প্রসিদ্ধ হয়। এই রঞ্জাবতীর ছেলে ছিল লাউসেন। এই লাউসেনের কিংবদন্তী রাজধানী হল ময়নাগড়। পরবর্তী কালে  বাহুবলীন্দ্র রাজারা বালিসীতাগড় থেকে নিজেদের রাজধানী ময়নাগড়ে স্থানান্তরিত করেন। কালিদহ ও মাকড়দহ নামে দুটি পরীখা দিয়ে ঘেরা এই ছোট্ট দ্বীপ ময়নাগড়। দ্বীপটি ছিল দুর্ভেদ্য দুর্গ। চারিদিকে ঘেরা ছিল কাঁটাবাঁশ ঝাড়ের দুর্ভেদ্য প্রাকৃতিক প্রাচীর। ১৯৬৬ সাল থেকে বিশেষ সান্ধ্য রাস বা নৈশকালীন বিহার চালু হয়। রাস পূর্ণিমার সন্ধায় শ্যামসুন্দর জিউ দুই রাধিকাকে সঙ্গী করে পরীখার রাজঘাট থেকে নৌকাবিহার করেন। জমকালো সাজানো নৌকায় এই বিহারযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। প...

পাঁশকুড়ার গোটপোতার বিস্ময়কর সেতু

Image
  পাঁশকুড়ার গোটপোতার বিস্ময়কর সেতু © রূপেশ সামন্ত পাঁশকুড়া ব্লকের ঘোষপুর অঞ্চলের গোটপোতা গ্রামে রয়েছে এক বিস্ময়কর সেতু । এখানে ক্ষীরাই নদী এবং মেদিনীপুর ক্যানেল একে অপরের উপর দিয়ে প্রবহমান। কোন প্রবাহই কা উকে স্পর্শ করে না । দুটি জলপ্রবাহই স্বতন্ত্র ভাবে যুক্ত চিহ্নের মতো একে অপরকে অতিক্রম করে চলে গেছে। এটি ব্রিটিশ আমলের কারিগরি বিদ্যার অন্যতম নজির । মেদিনীপুর ক্যনেলের জলস্তর ক্ষীরাইয়ের জলস্তরের থেকে উঁচু। তাই ক্ষীরাইকে আড়াআড়ি ভাবে অতিক্রম করার সময় যাতে মেদিনীপুর ক্যানেলের সব জল ক্ষীরাইয়ে না চলে যায় এবং ক্যানেলের জলস্তর যাতে দুইদিকে সারাবছর ঠিক থাকে, তাই এখানে বিশেষ এই কারিগরী বিদ্যার প্রয়োগ করা হয়েছে। এখানে একটি সেতুর সাহায্যে যুক্ত চিহ্নের ন্যায় আড়াআড়ি দুটি প্রবাহকে সম্পূর্ণ আলাদা করা হয়েছে। সেতুর উপর দিয়ে মেদিনীপুর ক্যানেল গিয়েছে এবং সেতুর নিচ দিয়ে ক্ষীরাই নদীকে প্রবাহিত করা হয়েছে। ক্ষীরাই নদীর উপর ১০টি খিলানের সাহায্যে সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। এক সময় খড়্গপুর আই.আই.টি-র ছাত্র-অধ্যাপকরা এই বিস্ময়কর স্থাপত্য পরিদর্শনে নিয়মিত আসতেন। সেতুর উপর দিয়ে প্রবাহিত মেদ...

মেদিনীপুর ক্যানেল জলপথের অতীত কথা

Image
  মেদিনীপুর ক্যানেল জলপথের অতীত কথা রূপেশ কুমার সামন্ত অ তীতে পাঁশকুড়ায় জলপথের গূরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল কাঁসাই, ক্ষীরাই, বাকসী প্রভৃতি নদী ও খাল। এইসব জলপথে নৌকা, যন্ত্রচালিত নৌকা ইত্যাদি চলাচল করত। মূলত বর্ষাকালে বা জোয়ারের সময় মানুষ পরিবহনের কাজ বেশি করে করত। তখন স্থলপথে পরিবহন অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল ছিল। আজ থেকে কুড়ি বছর আগে পর্যন্তও নৌকা বা যন্ত্রচালিত নৌকায় মাল পরিবহন করতে দেখা গেছে । শুধু নৌকা নয় , নদীপথে শ’য়ে শ’য়ে বাঁশ বা কাঠ ভাসিয়ে দিয়ে স্রোতের টানেও পরিবহন হত। এমনকি বিয়ে বাড়ির বরযাত্রী বা কন্যাযাত্রী পরিবহনেও বন্যার সময় জলভরা মাঠের মধ্য দিয়ে, নদী-খাল দিয়ে নৌকা বা যন্ত্রচালিত নৌকা ব্যবহৃত হত। কলাগাছে র ভেলা তৈরি করে মানুষ নদী-খাল পারাপার বা মৎস শিকার করত। পরবর্তীতে বন্যা প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে উঠলে, নদী-খালের নাব্যতা কমে গেলে, স্থলপথ যোগাযোগ উন্নত হলে, নদী-খালে ব্রীজ তৈরি হয়ে গেলে জলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্রমশ গূরুত্ব হারায়।      হাওড়া বা কলকাতা যাতায়াতের জন্য স্থলপথে যানবাহন পাওয়া দূরুহ ছিল। এছাড়াও কাঁসাইয়ের জলপথে যাতায়াতের ...

India successfully conducting flight trial of long range hypersonic missile

Image
In the X handle Ministry of Defence declared the successful conduction of a flight trial of long range hypersonic missile on 16th November, 2024. In the X handle Defence Ministry posted a press release: "The @DRDO_India   has successfully conducted a flight trial of its long range hypersonic missile on  16th Nov 2024 from Dr APJ Abdul Kalam Island, off-the-coast of Odisha". The Ministry quoted that Defence Minister Shri @rajnathsingh   had congratulated DRDO, Armed Forces and the Industry for successful flight trial of country's first long range hypersonic mission, and termed it a historic achievement. In the X handle Rajnath Sing, the hon'ble Minister of Defence published a press release: "India has achieved a major milestone by successfully conducting flight trial of long range hypersonic missile from Dr APJ Abdul Kalam Island, off-the-coast of Odisha. This is a historic moment and this significant achievement has put our country in the group of sel...

ফিরিয়ে দাও সেই বেহুলা

Image
👉ফিরিয়ে দাও সেই বেহুলা নদী ©রূপেশ সামন্ত পাঁশকুড়াকে গ্রাস করতে চাইছে কংসাবতী। মানুষ না মানলেও ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে প্রকৃতির পুনরাবৃত্তির বৈজ্ঞানিক নিয়মেই পাঁশকুড়াকে একদিন গ্রাস করে নেবে কংসাবতী, এ কথা সত্য। ২০১৩ সালে এবং ২০২৪ সালে গড় পুরুষোত্তমপুর ও জন্দরায় ভাঙনের মাধ্যমে কংসাবতী তার প্রাচীন পথ ও রূপ দেখিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও রানিহাটী, চাঁপাডালি, কল্লা, ভবানিপুর, তিলন্দপুর প্রভৃতি স্থানের ভাঙন প্রবনতা প্রবল ভাবে বাড়ছে। আগামী দিনে আরও বাড়বে। কিন্তু কেন এই প্রবনতা? আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে। মহিষাদলের রাজ সিংহাসনে তখন রাজা কল্যান রায়। তিনি সিংহাসনে আরোহন করেছিলেন ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে। তখন কাশিজোড়া পরগনার (এর মধ্যে ছিল আধুনিক পাঁশকুড়াও) সিংহাসনে আসীন ছিলেন রাজা প্রতাপনারায়ণ রায় (রাজত্বকাল ১৬২৪-১৬৬০)। মহিষাদলের রাজা কল্যান রায় কংসাবতী নদীর চাঁপাডালির কাছ থেকে খাল কেটে দক্ষিণ দিকে নিয়ে গিয়ে ফেললেন হলদি নদীতে। মালীবুড়োর 'লস্কর দিঘির মালা' গ্রন্থে সেই দৃশ্যের বর্ণনা পাওয়া যায়। সেই খালটি রায়খালি বা নয়া কাটান নামে পরিচিত ছিল। উল্লেখ্য, কংসাবতী নদীর...

পাঁশকুড়ার অপরূপা এক নদী বাকসী

Image
© রূপেশ কুমার সামন্ত সুজলা সুফলা পাঁশকুড়ার পশ্চিমে মায়াবী আঁচলে বয়ে চলা এক নদী হল বাকসী। অনেকে একে খালও বলে থাকে। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের জলরাশিতে পুষ্ট হওয়া অপরূপা এই নদী অবিরাম প্রবহমান। পাঁশকুড়ার গ্রামগঞ্জ, মানুষের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে মিশে আছে এই নদী। এই নদীর কতিপয় স্বকীয়তা আছে। নিরন্তর বয়ে চলাই তার বৈশিষ্ট্য। এই নদীতে খেলে জোয়ার-ভাটা। কখনো উজানে স্রোত, কখনো ভাটিতে। মাঝে মাঝে দুই তীরকে ভাসিয়ে জল ও পলি দিয়ে সজীব ও উর্বর করে তুলে। নদীর ওপর দিয়ে চলে নৌকা, ডোঙা, ভেলা। নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে হাটবাজার, গ্রাম-গঞ্জ। বক, মাছরাঙা খেলা করে এই নদীর জলে। পানকৌড়িরা নদীর বুকে ডুব দিয়ে মাছ শিকার করে। জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। আবার কখনো কখনো রুদ্ররূপ ধারণ করে গ্রাস করে নেয় গ্রামজনপদ, ঘরবাড়ি ও ফসলের জমি। বর্ষায় এই নদী যেমন ভয়ংকরী, আবার শীতে হাঁটুজলে সেই নদীই সুন্দরী। তখন বিস্তৃত উপত্যকা জুড়ে শুধুই বাহারী ফুল আর সব্জী। এই নদী নিয়ে কত গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গান স্থান পায় বইয়ের পাতায়। লাজুক পল্লিবধূর মতা ছন্দ তুলে এঁকেবেঁকে চলা সেই নদীই হল বাকসী। উৎস সন্ধানে ডেবরা ব্লকের দক্ষ...

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট : ছাত্ররা দাবার ঘুঁটি নাত্র

Image
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট : ছাত্ররা দাবার ঘুঁটি মাত্র আপাত ভাবে যেটি দৃশ্যত পরিস্ফুট , তা হল- ছাত্রদের বৈশম্য বিরোধী প্রবল কোটা আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং এই আন্দোলনে বহু প্রাণ চলে যায় । কিন্তু গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখলে বোঝা যায় , বিষয়টিকে স্বাভাবিক জনরোষের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে দেখালেও আসলে বিষয়টি যে বিরাট রাজনৈতিক দাবা খেলার অংশ তা ধীরে ধীরে পরিস্কার হচ্ছে এবং ছাত্ররা কেবল সেই দাবার ঘুঁটি ছিল মাত্র । দীর্ঘ ১ ৬ বছরের সেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রতিষ্ঠান বিরোধী মানসিকা জনমানসে তৈরি হয়েছিল , এটা অস্বীকার করা যায় না । বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাসিনা সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল না , একথাও বলা যায় না । তেমনি হাসিনা সরকার যে ১ ৬ বছরে একেবারেই ব্যর্থ ছিল , একথাও বলা যায় না । দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য খাদ্য , বস্ত্র , বাসস্থান , বিদ্যুৎ ,  রাস্তাঘাট , পানীয় জল বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাসিনা সরকারের উল্কেখ্যয...

On the Way of the Evolution of Santali Culture

Image
  On the Way of Evolution of Santali Culture  In the distant past, people of the Austric language group inhabited from northern India to Easter Island of the Pacific Ocean. Their noses are broad and flat, their complexions are black and their hair is wavy. They migrated from India to Australia approximately 30-40 thousand years ago. The descendants of that Austric group are called Santal.      The Santals have strong adherence to social customs. Their own judicial system is extraordinary. The village Panchayet is made up of five foremen. They are Manjhi, Paranik, Jag Manjhi, Godet and Naike. Pargana Panchayet is formed by adding the foremen of some village Panchayet. Its head is called Pargana. The next larger system is the Desh Panchayet. Above these three tiers of judiciary system there is the La’bir or Supreme Court.      Santal society is basically divided into 12 sections. They are Kisku, Hansda, Murmu,...

Types of Santali Marriage

Image
  Types of Santali Marriage Santali marriage is called ‛ Bapla'. Santals are forbidden to marry within their same clan. In Santal society, marriage ceremony takes place in bride's house. Child marriage is not practiced in Santal society. In their society, an elder brother can never marry a younger brother's widow wife. The Santals have a custom of giving dowry to bride. This dowry is very small. The amount of this money is three rupees or seven rupees. Again there is a custom of paying sixteen or twenty one rupees. The average age of marriage for a Santal boy is twenty and for a girl sixteen. There are seven types of marriage: (1)    Kiring Bihu Bapla- This marriage is also called 'Duar Bapla'. If the boy is suitable for marriage, the burden of finding a bride is given to relatives and friends. The marriage is done by searching for a suitable bride and groom and negotiating a compromise. The daughter is to be brought home as a bride giv...